বাংলাদেশের বন্দর সমূহ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের মোট বাণিজ্যের ৯০%-এর বেশি পরিমাণ পণ্য বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩টি সমুদ্র বন্দর , ৪৩টি নদীবন্দর এবং ২৫টি স্থল বন্দর রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরগুলি হলো চট্টগ্রাম বন্দর ও মংলা বন্দর। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর হিসাবে পরিচিত, যেটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম উপজেলার অন্তর্ভুক্ত কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে । এটিকে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক সমুদ্র বন্দর এবং জাতীয় অর্থনীতির প্রধান নাভী হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে । আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর হলো মংলা বন্দর, যা বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত । এটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম এবং ২য় ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর। এটি খুলনা মহানগরীর দক্ষিণ-পূর্বে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের নদীবন্দর গুলির মধ্যে বৃহত্তম নদী বন্দর হল নারায়ণগঞ্জ বন্দর । যেটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত । নদীবন্দর ও স্থল বন্দর গুলি সাধারণত দেশের অভ্যন্তরীণ যানবাহন এবং বাণিজ্যিক প্রযুক্তির ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
বাংলাদেশের স্থলবন্দরসমূহ
বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলি প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকার ঘোষিত ২৫ টি স্থল বন্দর রয়েছে। যার মধ্যে চালু রয়েছে ১৪ টি। সর্বশেষ স্থলবন্দরটি হলো মুজিবনগর স্থলবন্দর, এটি মেহেরপুরে অবস্থিত । বাংলাদেশে প্রথম বন্দর ঘোষনা করা হয় ১২ জানুয়ারি , ২০০২ । বাংলাদেশের স্থলবন্দরসমূহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন। বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল যার আয়তন ৮৬.৬৮ একর এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি । মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের একমাত্র স্থলবন্দর টেকনাফ । বাংলাদেশের একমাত্র সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীন বন্দর বেনাপোল যা যশোরে অবস্থিত । বেনাপোল সংলগ্ন ভারতীয় স্থলবন্দরের নাম পেট্রাপোল । চুক্তির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে ৬টি বন্দর পরিচালিত হয় যথাঃ সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, টেকনাফ, বিবিরবাজার ও বিরল। বাংলাদেশের সর্বাধিক ৩টি স্থলবন্দর রয়েছে সিলেট জেলায় - তামাবিল, শেওলা ও ভোলাগঞ্জ। তাছাড়া ২টি করে স্থলবন্দর রয়েছে ২ জেলায়: দিনাজপুর (হিলি ও বিরল) এবং চুয়াডাঙ্গা (দর্শনা ও দৌলতগঞ্জ)। নিচে বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলির নাম ও অবস্থান উল্লেখ করা হল ।
নাম | অবস্থান | ভারতে/মিয়ানমারে অবস্থান |
---|---|---|
১. বাংলা বান্ধা | তেতুলিয়া, পঞ্চগড় | ফুলবাড়িয়া, পশ্চিমবঙ্গ |
২. বুড়িমারী | পাটগ্রাম, লালমনিরহাট | চন্দ্রবান্ধা, পশ্চিমবঙ্গ |
৩. হিলি | দিনাজপুর | হিলি, পশ্চিমবঙ্গ |
৪. বিরল | দিনাজপুর | গৌর, পশ্চিমবঙ্গ |
৫. সোনা মসজিদ | চাঁপাইনবাবগঞ্জ | মোহাদিপুর, পশ্চিমবঙ্গ |
৬. তামাবিল | সিলেট | ডাউকি, মেঘালয় |
৭. আখাউড়া | ব্রাহ্মণবাড়িয়া | আগরতলা, ত্রিপুরা |
৮. হালুয়াঘাট | ময়মনসিংহ | গাছোয়াপাড়া, মেঘালয় |
৯. বিবিরবাজার | কুমিল্লা | শ্রীমন্তপুর, ত্রিপুরা |
১০. দর্শনা | চুয়াডাঙ্গা | কৃষ্ণনগর, পশ্চিমবঙ্গ |
১১. বেনাপোল | শারশা, যশোর | পেট্রোপোল, পশ্চিমবঙ্গ |
১২.ভোমড়া | সাতক্ষীরা | ঘোজাডাঙ্গা, পশ্চিমবঙ্গ |
১৩.টেকনাফ | কক্সবাজার | মুংডু, মিয়ানমার |
১৪. বিলোনিয়া | পরশুরাম, ফেনী | ত্রিপুরা |
১৫. নাকুগাঁও | নলিতাবাড়ী, শেরপুর | ডালু (মেঘালয়) |
১৬. রামগড় | খাগড়াছড়ি | সাববুম (ত্রিপুরা) |
১৭. বঙ্গসোনাহাট | ভুরুঙ্গামারি, কুড়িগ্রাম | সোনাহাট (আসাম) |
১৮. ধানুয়া কামালপুর | বকশীগঞ্জ, জামালপুর | মহেন্দ্রগঞ্জ (মেঘালয়) |
১৯. শেওলা | বিয়ানীবাজার, সিলেট | সুতাকান্দি (আসাম) |
২০.তেগামুখ | বড়কল, রাঙ্গামাটি | দেমাগারি (মিজোরাম) |
২১. চিলাহাটি | ডোমার, নীলফামারী | হলদিবাড়ি (কুচবিহার পশ্চিমবঙ্গ) |
২২.দৌলতগঞ্জ | জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা | মাজদিয়া (নদীয়া পশ্চিমবঙ্গ) |
২৩. বাল্লা | চুনারুঘাট , হবিগঞ্জ | পাহাড়মুড়া, খৈয়াই, ত্রিপুরা |
২৪. ভোলাগঞ্জ | সিলেট | চেরাপুঞ্জি , মেঘালয় |
২৫. মুজিবনগর | মুজিবনগর, মেহেরপুর | নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ |
⮚ ২৩তম স্থলবন্দর (বাল্লা) : ২৩ মার্চ ২০১৬ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলাধীন বাল্লা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। এটি দেশের ২৩তম স্থলবন্দর। এর আগে ১ জানুয়ারি ২০১৫ বাল্লাকে শুল্ক স্টেশন ঘোষণা করা হয়। বাল্লা শুল্ক স্টেশন স্থলবন্দরে রূপান্তরিত হওয়ায় হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরাসহ ৭টি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। ১৯৫১ সালে হবিগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে চুনারুঘাটে ভারত সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন গাজীপুরের বাল্লা স্থলবন্দরটি ৪.৩৭ একর জমির ওপর প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়।
⮚ পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর তামাবিল: ১২ জানুয়ারি ২০০২ সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তখন থেকে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কার্যালয় ছাড়া এখানে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কোন স্থাপনা বা অবকাঠামো ছিল না। ৮ মে ২০১৫ তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২৭ অক্টোবর ২০১৭ সিলেটের প্রথম পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে তামাবিলের উদ্বোধন হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩টি স্থলবন্দর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
⮚ কন্টেইনার ডিপো (Container Dipo) : কন্টেইনার ডিপো হল পণ্যদ্রব্য রাখার স্থান, গুদাম বা আড়ত। বিদেশি পন্য আমদানি বা রপ্তানি করার জন্য পন্যটিকে বৃহৎ এক কনটেইনারে ভর্তি করে রাখা হয় সেই স্থান কে একত্রে (কন্টেইনার ডিপো) বলা হয় । সহজ কথায়, পন্য রপ্তানি অথবা আমদানী করার জন্য পন্যগুলোকে জাহাজ থেকে আনলোড করার পরে অথবা পূর্বে একটি বৃহৎ এলাকায় সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করা হয় এটিকেই মূলত কন্টেইনার ডিপো বলা হয় । বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো রপ্তানি পণ্য অথবা আমদানি করা পণ্য কন্টেইনারে করে এই ডিপোতে এনে জমা করা হয়। এরপর সেটি জাহাজে করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয় অথবা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়। রপ্তানিকারক এবং আমদানিকারক কোম্পানিগুলো এই ডিপোর জায়গা ভাড়া নিয়ে কন্টেইনার রাখে।
- বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম কন্টেইনার ডিপো : চট্টগ্রাম
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো : কমলাপুর, ঢাকা
- বাংলাদেশের প্রথম অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নৌ-টার্মিনাল : কেরানীগঞ্জ, ঢাকা ।
⮚ ২৫তম স্থলবন্দর (মুজিবনগর ) : সর্বশেষ ঘোষিত ২৫ তম স্থলবন্দর হলো "মুজিবনগর স্থল ও কাস্টমস স্টেশন "। এটি মাঝপাড়া, মুজিবনগর, মেহেরপুরে অবস্থিত । ২৭ মে, ২০২১ তারিখে এটি ২৫ তম স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষিত হয় ।
বাংলাদেশের নদী বন্দরসমূহ
বাংলাদেশের নদী বন্দরগুলি দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নদীবহুল দেশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে নৌপথ ও নদী বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ৬টি স্থানকে নদীবন্দর ঘোষণা করা হয়। দেশের প্রায় সব বড় শহর ও বাণিজ্যকেন্দ্রই গড়ে উঠেছে নদী বন্দরকে কেন্দ্র করে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৩ টি নদীবন্দর রয়েছে। সর্বশেষ নদী বন্দর নাজিরগঞ্জ নদী বন্দর, পাবনা।
৩২তম নদী বন্দর- পাবনার রূপপুর নদী বন্দর। ১৭-জুলাই-২০১৮ এটি নদী বন্দর হিসেবে ঘোষিত হয়। এ নদীবন্দরের মাধ্যমে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালপত্র পরিবহন করা হবে। চাঁদপুর নদী বন্দর মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত ।
বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর
বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর - ৩ টি। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দর। বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর- চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর। বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার বলা হয়- চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে।
সমুদ্রবন্দর | Key Points |
---|---|
চট্টগ্রাম | • এটি কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত । • বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর। • ২৫ এপ্রিল, ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ১৮৮৮ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। • স্বাধীন বাংলাদেশে নির্মিত দেশের প্রথম সমুদ্র বন্দর। • কর্ণফুলি নদীর তীরে অবস্থিত এই বন্দরটি ১৯১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। • আমদানি-রপ্তানির ৯২% হয়। |
মংলা | • এটি পশুর ও মংলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত । • বন্দরটি বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। এই বন্দরের বড় বড় জাহাজের মাল খালাস করা হয় চালনায় । • স্বাধীনতার পরে দ্বিতীয় বন্দর মংলা সমুদ্রবন্দর। • আমদানি-রপ্তানির ৮% হয়। |
পায়রা | • এটি রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর তীরে অবস্থিত । • পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত। • তৃতীয় বন্দর পায়রা সমুদ্রবন্দর। • ৫ নভেম্বর, ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন পাস করা হয়। • এই বন্দরটি ২০১৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে। |
⮚ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর : দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর 'মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর' কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত।
একনজরে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর | |
---|---|
প্রকল্পের কাজ শুরু | ১৬ নভেম্বর, ২০২০ |
অবস্থান | মহেশখালী , কক্সবাজার |
নৌ চ্যানেলের দৈর্ঘ্য | ১৪.৩ কিলোমিটার |
অর্থায়ন | জাইকা (জাপান) |
ব্যয় | ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি |
নির্মাণ শেষ | ২০২৬ সালে |
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন হচ্ছে বাংলাদেশের রাষ্ট্র-মালিকানাধীন একটি স্বশাসিত কর্পোরেশন। এটি কিছু জাহাজ, তেলবাহী টেঙ্কার এবং অন্যান্য সমুদ্রগামী জাহাজকে সনদ প্রদান করে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দর
- বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তিনটি।
- যশোর, কক্সবাজার, বরিশাল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, সৈয়দপুর, তেজগাঁও ও বাগেরহাটে। (নির্মাণাধীন) আভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আছে।
- ঢাকার অদূরে সর্বাধুনিক সূযোগ সুবিধা সম্বলিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর' নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
⮚ হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর :
- অবস্থান: ঢাকা
- বাংলাদেশের প্রথম ও বৃহত্তম বিমানবন্দর।
- ১৯৮০ সালে বিমানবন্দরটি চালু হয়।
- পূর্ব নাম -কুর্মিটোলা বিমানবন্দর, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
⮚ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর :
- অবস্থান: চট্টগ্রাম
- ২৭ অক্টোবর, ১৯৯২ থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়।
- পূর্ব নাম- এম.এ হান্নান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
⮚ ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর :
- অবস্থান: সিলেট
- বাংলাদেশের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
- ১৫ মে, ১৯৯৯ বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের মর্যাদা লাভ করে।
সৈয়দপুরে চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর। হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা; শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট-এর পর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক ও বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের সার্বিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তান থেকে সৈন্য-অস্ত্র আনতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি পাকিস্তানি বাহিনী নির্মাণ করে। ১৯৭৭ সাল থেকে এখানে বাণিজ্যিক বিমান ওঠানামা শুরু হয়।
এশিয়ান হাইওয়ে ও বাংলাদেশ
- এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সড়কপথে বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়াতে ১৯৫৯ সালে এশিয়ান হাইওয়ে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCAP)।
- এশিয়ান হাইওয়ে প্রকল্পের নাম Asian Land Transport Infrastructure Development (ALTID).
- ALTID প্রকল্পের শাখা এশিয়ান মহাসড়ক, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে এবং Facilitation of Land Transport.
- এশিয়ান হাইওয়ের দৈর্ঘ্য ১,৪১,১০৫ কি.মি.।
- ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের দৈর্ঘ্য ১৪০৪৭৯ কি.মি.। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের বাংলাদেশ অংশের দৈর্ঘ্য ১৮০৪ কি.মি.।
- ২০০৩ সালে ESCAP এর ৫৮তম সম্মেলনে এ বিষয়ে ৩২টি দেশের মধ্য একটি আন্তঃসমঝোতা হয়। পরবর্তীতে ৩২টি দেশের মধ্য ২৮টি দেশ এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করে। সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ, উত্তরকোরিয়া ও তুর্কেমেনিস্থান এখনও এতে স্বাক্ষর করেনি।
- এশিয়ান হাইওয়ে চুক্তিটি কার্যকর হয় ৪ জুলাই, ২০০৫ সালে।
- ২০০৭ সালের ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যোগদান করে।
- ২১ মে, ০৯ বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
- ১৫ জুন, ০৯ এশিয়ান হাইওয়ের সাথে বাংলাদেশের যুক্ত হবার বিষয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়।
- ESCAP বাংলাদেশের জন্য দুইটি রুট AH1 (৪৯৫ কিলোমিটার) এবং AH2 (৮০৫ কিলোমিটার) এবং একটি আঞ্চলিক রুট AH41 প্রস্তাব করেছে।
AH1 রুট: বেনাপোল-যশোর -মাওয়া-ঢাকা-কাঁচপুর -সিলেট-তামাবিল
AH2 রুট: বাংলাদেশ -পঞ্চগড়-বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা-কাঁচপুর -সিলেট-তামাবিল