ফোটন কণা
কোয়ান্টাম তত্ত্ব অনুসারে আলোকশক্তি কোন উৎস থেকে অবিচ্ছিন্ন তরঙ্গের আকারে না বেরিয়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গুচ্ছ বা প্যাকেট আকারে বের হয়। প্রত্যেক রং এর আলোর জন্য এই শক্তি প্যাকেটের শক্তির একটা সর্বনিম্ন মান আছে। এই সর্ব নিম্নমানের শক্তি সম্পন্ন কণিকাকে কোয়ান্টাম বা ফোটন বলে।
- কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রবক্তা: ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক (উদ্ভাবন -১৯০০)
- কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে ফটো তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন: বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে।
- ফটো তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যার জন্য নোবেল পুরস্কার পান: বিজ্ঞানী আইনস্টাইন ১৯২১ সালে।
- একটি ফোটনের শক্তি: E = hv (h = প্ল্যাঙ্কেও ধ্রুবক; v= ফোটনের কম্পাঙ্ক)
- Plank's Constant এর মান: 6.65×10-27 erg sec
- শূন্যস্থানে ফোটন চলে- আলোর দ্রুতিতে।
- ফোটনের স্থিতি ভর- শূন্য।
- ফোটন- তড়িৎ নিরপেক্ষ।
হিগের কণা
- হিগস বোসন ক্ষেত্র নামক তাত্ত্বিক বল ক্ষেত্র সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে আছে ।
- ভরহীন কোনো কণা এ ক্ষেত্রে প্রবেশ করলে তা ধীরে ধীরে ভর লাভ করে। ফলে চলার গতি হ্রাস পায়। এ ক্ষেত্রের মাধ্যমেই ভর কণাতে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ হিগস ক্ষেত্র ভর সৃষ্টি করতে পারে না, তা কেবল কণাতে স্থানান্তরিত করে হিগস বোসনের মাধ্যমে। এ হিগস বোসনই ঈশ্বর কণা বা God's Particle নামে পরিচিত ।
- হিগের কণা সৃষ্টিতে অবদান রাখে- বাঙালি বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর 'কণা পরিসংখ্যান তত্ত্ব'।
- বিজ্ঞানী হিগের সাথে সত্যেন্দ্রনাথকে জড়িয়ে হিগের কণার নাম দেন- হিগস বোসন কণা।
- হিগস বোসন কণা আবিষ্কৃত হয়- ৪ জুলাই, ২০১২ সালে।
- ঈশ্বর কণার সন্ধানে ব্যবহৃত গবেষণাগারটি হলো- লার্জ হ্যাড্রন কলাইডর (পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গবেষণাগার)।
- ঈশ্বর কণা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়- ইউরোপের প্রভাবশালী বিজ্ঞান সংস্থা CERN (European Organization for Nuclear Research)
- হিগস বোসন কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য ২০১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান- পিটার ডব্লিউ হিগস (যুক্তরাজ্য) ও ফ্রাঁসোয়া ইংলার্ট (বেলজিয়াম)।
অধরা কণা
ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে আবিষ্কৃত হয় অধরা কণা ভাইল ফার্মিয়ন। এ কণা আবিষ্কারের ফলে মুঠোফোন ও কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর গতি যেমন বাড়বে তেমনি তা সাশ্রয়ীও হবে।