স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)
বাঙালি কবি, কথাসাহিত্যিক, সংগীতকার ও সমাজ সংস্কারক স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক । ঠাকুর বাড়ির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে তিনি শিক্ষা লাভ করেন
স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | স্বর্ণকুমারী দেবী ২৮ আগস্ট, ১৮৫৫ সালে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। |
পরিচিতি | তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন । |
সম্পাদনা | তিনি ‘ভারতী’ (১৮৭৭) পত্রিকা সম্পাদনা (১৮৮৪-৯৪) করেন। এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । কিশোর পত্রিকা ‘বালক’ প্রতিষ্ঠা তাঁর অমর কীর্তি। |
সমিতি গঠন | অনাথ ও বিধবাদের সাহায্যার্থে ঠাকুর বাড়ির অন্যদের নিয়ে ‘সখিসমিতি' (১৮৮৬) গঠন করেন। এ নামটি দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং এ সমিতির অর্থ সংগ্রহের জন্য তিনি ‘মায়ার খেলা' নাটকটি রচনা করেন। |
পুরস্কার | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ (১৯২৭) লাভ করেন। |
সাহিত্যকর্ম |
স্বর্ণকুমারী দেবীর সাহিত্যকর্মসমূহ: উপন্যাস: ‘দীপনির্বাণ' (১৮৭৬): এটি তার প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস, যা জাতীয়তাবাদী চেতনায় লেখা । ‘মেবার রাজ’ (১৮৭৭), ‘ছিন্ন মুকুল' (১৮৭৯), ‘মালতী’ (১৮৮০), ‘হুগলির ইমাম বাড়ি' (১৮৮৮), ‘বিদ্রোহ’ (১৮৯০), ‘স্নেহলতা’ (১৮৯২), ‘কাহাকে ’ (১৮৯৮), ‘বিচিত্রা” (১৯২০), ‘স্বপ্নবাণী' (১৯২১), ‘মিলনরাত্রি' (১৯২৫)। নাটক: ‘বসন্ত উৎসব’ (১৮৭৯), ‘বিবাহ উৎসব' (১৯০১), ‘দেবকৌতুক' (১৯০৫), ‘কনে বদল' (১৯০৬), ‘পাকচক্ৰ’ (১৯০৬), ‘রাজকন্যা’ (১৯১১), ‘নিবেদিতা' (১৯১৭), ‘যুগান্ত' (১৯২২), ‘দিব্যকমল' (১৯৩০)। কাব্য: ‘গাথা’ (১৮৯০), ‘কবিতা ও গান’ (১৮৯৫)। বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ: ‘পৃথিবী’ (১৮৮২)। |
মৃত্যু | তিনি ৩ জুলাই, ১৯৩২ সালে মারা যান। |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন