গঙ্গামঙ্গলের কাহিনী
শিবের গান শুনে ভগবান প্রবীভূত হয়ে নারীরূপ ধারণ করেন। অপরদিকে বলি রাজাকে ছলনা করার জন্য বামনরূপী বিষ্ণু তিনপদ বিশিষ্ট হয়ে পৃথিবী, পাতাল ও আকাশ জুড়ে রইলেন। তাঁর পদনখের আঘাতে ব্রহ্মাণ্ড ছিন্ন হয় এবং সেপথে গঙ্গা মর্তে সুমেরু শিখরে । পতিত হয়। ওই সময়ে ইন্দ্র সগর রাজার যজ্ঞের অশ্ব হরণ করে পাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। অশ্ব উদ্ধার করতে গিয়ে সগর রাজার ষাট হাজার সন্তান কপিল মুণির রোষানলে ভস্মীভূত হয়। শেষপর্যন্ত রাজা তপস্যা করে সন্তানদের শাপমোচনের উপায় জানতে পারেন। তদনুযায়ী পুরুষ পরম্পরায় তপস্যা করার পর তাঁর বংশধর ভগীরথ গঙ্গাকে মর্তে এনে সন্তানদের স্পর্শ করিয়ে তাদের শাপমুক্ত করার বর লাভ করে। সুমেরু শিখর থেকে গঙ্গা শিবের জটায় পতিত হলে শিব তাঁকে আটকে রাখেন। আবার তপস্যা করার পর গঙ্গাকে নিয়ে যাবার বর পায় ভগীরথ। পর্বত অতিক্রম করে গঙ্গা নেমে পড়ে সমতলে বা মেদিনীতে । তাঁর তরঙ্গ দেখে মেদিনী ভীত হয়। মেদিনীর অনুরোধ রক্ষা করতে গঙ্গা রাজি হন এবং সগর-সন্তানদের উদ্ধার করে শেষ পর্যন্ত সাগরে গিয়ে মেলেন।