বিসিএস সহ যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য বিখ্যাত বাংলা উপন্যাস এর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হল। বাংলা উপন্যাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়ুন: বাংলা উপন্যাসের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ এবং শ্রেণীবিভাগ
বিখ্যাত বাংলা উপন্যাস
ঔপন্যাসিক | উপন্যাসের নাম |
---|---|
প্যারীচাঁদ মিত্র | ‘আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৭) : বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস। |
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫) : এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। 'কপালকুণ্ডলা'(১৮৬৬), 'মৃণালিনী'(১৮৬৯), 'কৃষ্ণকান্তের উইল'(১৮৭৮), 'ইন্দিরা'(১৮৭৩), 'যুগলাঙ্গুরীয়'(১৮৭৪), 'দেবী চৌধুরাণী'(১৮৮৪), ‘রাধারানী(১৮৮৬) ', 'সীতারাম(১৮৮৭) ', 'রজনী'(১৮৭৭), 'চন্দ্রশেখর'(১৮৭৫), 'আনন্দমঠ(১৮৮২) ', 'রাজসিংহ (১৮৮২) ', 'বিষবৃক্ষ'(১৮৭৩) । |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | 'বৌঠাকুরানীর হাট' (১৮৮৩): প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। 'চোখের বালি'(১৯০৩), 'গোরা'(১৯১০), 'ঘরে-বাইরে'(১৯১৬), যোগাযোগ’(১৯২৯), ‘শেষের কবিতা” (১৯২৯), “দুইবোন’(১৯৩৩), ‘চার অধ্যায়'(১৯৩৪), 'মালঞ্চ'(১৯৩৪), 'চতুরঙ্গ'(১৯১৬), 'রাজর্ষি'(১৮৮৭), 'নৌকাডুবি'(১৯০৬) । |
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | 'বড়দিদি' (১৯০৭) : এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। 'শ্রীকান্ত' (১ম খণ্ড ১৯১৭, ২য় খণ্ড- ১৯১৮, ৩য় খণ্ড- ১৯২৭, ৪র্থ খণ্ড- ১৯৩৩): এটি তাঁর আত্মজৈবনিক উপন্যাস । 'গৃহদাহ' (১৯২০), 'পথের দাবী' (১৯২৬), 'পল্লীসমাজ' (১৯১৬), 'দেবদাস' (১৯১৭), 'চরিত্রহীন' (১৯১৭), 'নববিধান' (১৯২৪), 'দত্তা' (১৯১৮), 'দেনা পাওনা' (১৯২০), ‘পরিণীতা' (১৯১৪), ‘বিরাজ বৌ' (১৯১৪), 'পণ্ডিত মশাই' (১৯১৪), ‘শেষ প্রশ্ন' (১৯৩১), 'শেষের পরিচয়' (১৯৩৯) । |
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় | ’পথের পাঁচালী' (১৯২৯): এটি তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। 'অপরাজিত', 'আরণ্যক', 'আদর্শ হিন্দু হোটেল', 'অনুবর্তন', 'দৃষ্টিপ্রদীপ', ‘ইছামতি', 'অশনি সংকেত', ‘দেবযান’। |
কালীপ্রসন্ন সিংহ | 'হুতোম প্যাঁচার নকশা' (১৮৬২): এটি রম্য রচনা। |
ইন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় | 'কল্পতরু' ( ১৮৭৪): এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্যঙ্গ উপন্যাস । |
ভূদেব মুখোপাধ্যায় | 'ঐতিহাসিক উপন্যাস' (১৮৫৭) : বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিক উপন্যাসের দ্বিতীয় নিদর্শন। |
রমেশচন্দ্র দত্ত | ‘বঙ্গবিজেতা' (১৮৭৯), 'মাধবীকঙ্কন' (১৮৭৯), 'জীবনপ্রভাত' (১৮৭৯), জীবনসন্ধ্যা' (১৮৭৯)। প্রথম দুটি উপন্যাসে তিনি সম্রাট আকবর কর্তৃক বাংলা বিজয়, তৃতীয়টিতে আকবরের বিরুদ্ধে রানা প্রতাপ সিংহের সংগ্রাম এবং চতুর্থটিতে শিবাজীর নেতৃত্বে মারাঠা শক্তির অভ্যুদয়ের কাহিনি বর্ণনা করেন। এ চারটি উপন্যাসই ছিল ঐতিহাসিক। চারটির বিষয়ই মোঘল আমলের ১০০ বছরের মধ্যেই ঘটিত। এ জন্য উপন্যাস চারটি একত্রে সংকলিত হয়েছে ‘শতবর্ষ' নামে। |
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরী | 'রূপজালাল' (১৮৭৬): এটি আত্মজীবনীমূলক রচনা । |
নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন | ‘আনোয়ারা' (১৯১৪); এতে বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়ের পারিবারিক ও সামাজিক চিত্র ফুটে উঠেছে। |
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক | ’জোহরা' (১৯২৬); এতে তৎকালীন মুসলিম সমাজের নারীদের প্রতি অন্যায় ও অত্যাচারের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। কন্যার মতামত অগ্রাহ্য করে আত্নীয়-স্বজনেরা বিয়ে দিতে গিয়ে কন্যার জীবনে যে দুর্ভোগের সৃষ্টি করে তারই সার্থক রূপায়ণ এ উপন্যাস। |
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় | ‘ধাত্রীদেবতা'(১৯৩৯) , ‘গণদেবতা'(১৯৪২) , 'পঞ্চগ্রাম'(১৯৪৩) , 'একটি কালো মেয়ের কাহিনী'(১৯৭১) , 'হাঁসুলি বাঁকের উপকথা'(১৯৪৭), ‘কবি'(১৯৪২), 'অরণ্যবহ্নি'(১৯৬৬),' চৈতালি ঘূর্ণি’(১৯৩২), উত্তরায়ণ (১৯৫০)। |
কাজী নজরুল ইসলাম | ‘বাঁধনহারা'(১৯২৭): এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস। 'কুহেলিকা(১৯৩১)', 'মৃত্যুক্ষুধা'(১৯৩০)। |
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় | 'জননী' (১৯৩৫): এটি তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস । ‘পদ্মানদীর মাঝি”(১৯৩৬), ‘পুতুলনাচের ইতিকথা”(১৯৩৬), “শহরতলী(১৯৪০)', 'অমৃতস্য পুত্রা', 'অহিংসা'(১৯৪১), 'আরোগ্য'(১৯৫৩), 'দিবারাত্রির কাব্য'(১৯৩৫), 'সোনার চেয়ে দামি'(১৯৫১), 'স্বাধীনতার স্বাদ'(১৯৫১)। |
আনোয়ার পাশা | ‘রাইফেল রোটি আওরাত'(১৯৭৩)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস ”রাইফেল রোটি আওরাত” রচনার জন্য তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। |
সেলিনা হোসেন | ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’( ১৯৭৬), ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’(১৯৮৬), ‘নিরন্তর ঘন্টাধ্বনি’(১৯৮৭)। |
শওকত ওসমান | ‘জননী’ (১৯৬১): প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’(১৯৭১), ‘দুই সৈনিক’(১৯৭৩), ‘নেকড়ে অরণ্য'(১৯৭৩), ‘জলাঙ্গী’(১৯৮৬), ‘বনি আদম’, ‘ক্রীতদাসের হাসি’(১৯৬২), ‘সমাগম’( ১৯৬৭), ‘চৌরসন্ধি’(১৯৬৮), ‘রাজা উপাখ্যান’(১৯৭০), ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’(১৯৮৩) । |
দিলারা হাসেম | ‘ঘর মন ও জানালা’(১৯৬৫), ‘আমলকীর মৌ’(১৯৭৮), শঙ্খ করাত (১৯৯৫) । |
অন্নদাশঙ্কর রায় | ‘সত্যাসত্য’: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যিক উপন্যাস যা ছয় খণ্ডে প্রকাশিত। |
শওকত আলী | ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ (১৯৮৪), ‘কুলায় কালস্রোত’ (১৯৮৬), 'ওয়ারিশ' (১৯৮৯)। |
আবু জাফর শামসুদ্দীন | ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান (১৯৬৩),‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ (১৯৭৪), ‘দেয়াল’ (১৯৮৫) । |
স্বর্ণকুমারী দেবী | দীপনির্বাণ (১৮৭৬),মিবার-রাজ (১৮৭৭),ছিন্নমুকুল (১৮৭৯)। |
রশীদ করিম | উত্তম পুরুষ (১৯৬১),প্রসন্ন পাষাণ (১৯৬৩)। |
কাজী ইমদাদুল হক | ‘আব্দুল্লাহ’ (১৯৩৩) |
ইমদাদুল হক মিলন | ‘রূপনগর’(১৯৮৮),‘সারাবেলা’(১৯৮৮),‘নদী উপাখ্যান ’ |
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় | ‘বৈতালিক’ |
প্রমথনাথ বিশী | ‘কেরী সাহেবের মুন্সী’(১৯৫৮), ‘লালকেল্লা’(১৯৬৩) । |
হুমায়ুন কবির | ‘নদী ও নারী’(১৯৪৫)। |
অদ্বৈত মল্লবর্মণ | ‘তিতাস একটি নদীর নাম' |
ডা. লুৎফর রহমান | 'সরলা' |
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী | ‘বেণের মেয়ে’(১৯১৯) |
মাহমুদুল হক | ‘কালো বরফ’ (১৯৭৭) - উপন্যাসটির মূল বিষয় ছেচল্লিশের দাঙ্গা ও সাতচল্লিশের দেশভাগ। |
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় | ‘আত্মপ্রকাশ’, ‘পূর্ব-পশ্চিম' |
আব্দুর রাজ্জাক | ‘কন্যাকুমারী’ |
নুরজাহান বেগম | ‘আগুনমুখার মেয়ে’ |
হাসন রাজা | ‘লোকে সিন্ধু’ |
রাজিয়া খান | ‘বটতলার উপন্যাস' |
খান মুহম্মদ মঈনুদ্দিন | ‘অনাথিনী’ |
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ | ‘অলীক মানুষ’ |
জরাসন্ধ | ‘ন্যায়দণ্ড’ |
আকবর হোসেন | ‘দু’দিনের খেলাঘর’ |
সত্যেন সেন | ‘অভিশপ্ত নগরী’, ‘পাপের সন্তান’। |
সরদার জয়েনউদ্দীন | ‘অনেক সূর্যের আশা’,‘বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ’ |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন