বাঙালি কবি, সমাজকর্মী ও নারীবাদী লেখিকা কামিনী রায় ছিলেন ১৮৮৬ সালে সংস্কৃত ভাষায় স্নাতক ডিগ্রিধারী ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা ব্যক্তিত্ব। তিনি মাত্র ৮ বছর বয়সে কবিতা লেখা আরম্ভ করেন। তাঁর কবিতাগুলোয় জীবনের সুখ-দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনা সাবলীলভাবে ফুটে উঠেছে।
কামিনী রায় ( ১৮৬৪ - ১৯৩৩ )
- কামিনী রায় ১২ অক্টোবর, ১৮৬৪ সালে বাসন্ডা, বাকেরগঞ্জ, বরিশালে (বর্তমানে এটি ঝালকাঠি জেলা) জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি 'জনৈক বঙ্গমহিলা' ছদ্মনামে লিখতেন।
- তিনি ১৯২৯ সালে 'জগত্তারিণী স্বর্ণপদক' লাভ করেন।
- তিনি 'নারী শ্রম তদন্ত কমিশন' (১৯২২-২৩) এর সদস্য ছিলেন।
- তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ সালে হাজারীবাগ, বিহারে মৃত্যুবরণ করেন।
কামিনী রায়ের কাব্যগ্রন্থগুলো কী কী?
- 'আলো ও ছায়া' (১৮৮৯): এটি তাঁর ১৫ বছর বয়সে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ গ্রন্থের ভূমিকা লেখেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
- 'নির্মাল্য' (১৮৯১)
- 'পৌরাণিকী' (১৮৯৭)
- 'মাল্য ও নির্মাল্য' (১৯১৩)
- 'অশোক সঙ্গীত' (সনেট সংগ্রহ, ১৯১৪)
- 'অম্বা' (নাট্যকাব্য, ১৯১৫)
- 'ঠাকুরমার চিঠি' (১৯২৪)
- 'দীপ ও ধূপ' (১৯২৯)
- 'জীবন পথে' (১৯৩০)
- 'একলব্য'
- 'দ্রোণ-ধৃষ্টদ্যুম্ন'
- 'শ্রাদ্ধিকী'
কামিনী রায়ের কবিতাগুলো কী কী?
'পরার্থে', 'পাছে লোকে কিছু বলে', 'সুখ', 'মাতৃপূজা', 'দিন চলে যায়', 'গুঞ্জন' (কবিতাসংগ্রহ)।
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত কবিতা: 'মহাশ্বেতা', 'পুণ্ডরীক'।
কামিনী রায়ের প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম কী?
'বালিকা শিক্ষার আদর্শ' (১৯১৮)
বিখ্যাত পঙক্তি
- করিতে পারি না কাজ,
সদা ভয়, সদা লাজ,
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,
পাছে লোকে কিছু বলে। - পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
আপনার লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।