ইসলামের যুদ্ধ
- বদরের যুদ্ধ দ্বিতীয় হিজরি (৬২৪ খ্রিস্টাব্দে)
- ওহুদের যুদ্ধ তৃতীয় হিজরি (৬২৫ খ্রিস্টাব্দে)
- খন্দকের যুদ্ধ পঞ্চম হিজরি (৬২৭ খ্রিস্টাব্দে)
- মক্কা বিজয় দশম হিজরি
- খায়বারের যুদ্ধ অষ্টম হিজরি
ধর্মযুদ্ধ ক্রুসেড
- পর্যায় : ১০৯৫-১২৯১
- পক্ষসমূহ :
খ্রিস্টান সম্প্রদায় এবং মুসলিম সম্প্রদায় ।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের পক্ষে প্রথম ক্রুসেড পরিচালনাকারী গডফ্রে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে প্রথম ক্রুসেড পরিচালনাকারী কাজী আরসেনাল ।
- প্রেক্ষাপট :
পবিত্র জেরুজালেম উভয় সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান। পবিত্র জেরুজালেমে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
শতবর্ষব্যাপী যুদ্ধ
- সময়কাল : ১৩৩৭-১৪৫৩
- স্থান : ফ্রান্স
- প্রেক্ষাপট : ইংল্যান্ডের বাজা তৃতীয় এডওয়ার্ড ফ্রান্সের সিংহাসন দাবি করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
- বিজয়ী : ফ্রান্স
- বিপক্ষ শক্তি : ব্রিটেন
পানিপথের যুদ্ধ
- পানিপথের প্রথম যুদ্ধ : ১৫২৬ সালে (সম্রাট বাবর ও ইব্রাহিম লোদীর মধ্যে)।
- পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ : ১৫৫৬ সালে (আকবরের সেনাপতি বৈরাম খান ও হিমুর মধ্যে)।
- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ : ১৭৬১ সালে (আহমদ শাহ আবদালী ও মারাঠাদের। মধ্যে)।
সপ্তবর্ষব্যাপী যুদ্ধ
- সময়কাল : ১৭৫৬-১৭৬৩
- স্থান : ফ্রান্স (জোয়ান অব আর্ক)
- বিজয়ী : প্রুসিয়া, গ্রেট ব্রিটেন, হ্যানোভার, পর্তুগাল
- বিপক্ষ শক্তি : ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন
ট্রাফালগারের যুদ্ধ
- সময়কাল : ২১ অক্টোবর, ১৮০৫
- স্থান : কেপ ট্রাফালগার, স্পেন
- বিজয়ী : ব্রিটেন
- বিপক্ষ শক্তি : ফ্রান্স ও স্পেন
ওয়াটার লুর যুদ্ধ
- সময়কাল : ১৮ জুন, ১৮১৫
- স্থান : ওয়াটার লু, বেলজিয়াম (যা বেলজিয়ামের ওয়াটার লু শহর থেকে ২ কিমি দূরে এবং ব্রাসেলস থেকে ১৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত।)
- বিজয়ী : ব্রিটেনের নেতৃত্বাধীন মিত্রশক্তি
- বিপক্ষশক্তি : (ফ্রান্স, রাশিয়া, স্পেন ও সুইডেন)
- সেনাপতি : মিত্রশক্তির প্রধান সেনাপতি ডিউক অব ওয়েলিংটন এবং বিপক্ষশক্তির প্রধান সেনাপতি নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট
প্রথম আফিমের যুদ্ধ
- সময়কাল : ১৮৩৯-১৮৪২
- স্থান : চীন
- যুদ্ধের কারণ : অষ্টাদশ শতাব্দীতে যুক্তরাজ্য চীনে প্রচুর আফিম আনতে শুরু করে। চীন আফিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে যুক্তরাজ্য-চীনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
- বিজয়ী : যুক্তরাজ্য
- বিপক্ষ শক্তি : চীন
- ফলাফল : চীন হংকং দ্বীপটি যুক্তরাজ্যের নিকট লীজ দিতে বাধ্য হয়। (১৮৪২ সালে নানজিং চুক্তিতে)
ক্রিমিয়ারের যুদ্ধ
- সময়কাল : ১৮৫৩-১৮৫৬
- স্থান : ক্রিমিয়া, ইউক্রেন
- বিজয়ী : ফ্রান্স, ব্রিটেন, অটোমান রাজ্য
- বিপক্ষ শক্তি : রাশিয়া, বুলগেরিয়া
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
- সময়কাল : ২৮ জুলাই, ১৯১৪ - ১১ নভেম্বর, ১৯১৮
- প্রেক্ষাপট : ২৮ জুন ১৯১৪ অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ ফার্ডিন্যান্ড সারায়েভো (বর্তমান বসনিয়া-হার্জেগোভিনার অন্তর্গত) শহরে গুপ্ত ঘাতক কর্তৃক নিহত হন। এই গুপ্তহত্যায় সার্বিয়া সহায়তা করে।
- বিজয়ী : মিত্রশক্তি (Allied Powers)- ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইতালি, জাপান, বেলজিয়াম, রোমানিয়া, পর্তুগাল, গ্রিস।
- বিপক্ষ শক্তি : অক্ষ শক্তি (Central Powers) - জার্মানি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, অটোমান সম্রাজ্য, বুলগেরিয়া।
- ফলাফল :
• জার্মান, রাশিয়ান, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান এবং অটোমান সম্রাজ্য ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
• ১১ নভেম্বর, ১৯১৮ জার্মানি আত্মসমর্পণ করে। (এই দিন Armistice treaaty হয়)
• ২৮ জুন, ১৯১৯ ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে।
• বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য 'লীগ অব নেশনস' এর জন্ম হয়।
• প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড্রো-উইলসন।
- মিত্রবাহিনীর নেতা :
• রাশিয়ান জার দ্বিতীয় নিকোলাস
• ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পয়েকার
• ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জ
- অক্ষ শক্তির নেতা :
• অস্ট্রিয়ার সম্রাট ফ্রাঞ্জ জোসেফ
• জার্মান সম্রাট দ্বিতীয় উইলিয়াম
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
- সময়কাল : ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯ - ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
- বিজয়ী : মিত্রশক্তি (Allied Powers) - ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, পোল্যান্ড
- বিপক্ষ শক্তি : অক্ষ শক্তি (Central Powers) - জার্মানি, জাপান, ইতালি
- ঘটনাপ্রবাহ :
• ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ পোল্যান্ডে জার্মান আগ্রাসনের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এই ঘটনার দুইদিন পর ফ্রান্স ও ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
• ১৯৪০ সালে জার্মান-ইতালির সেনাবাহিনীর নিকট ফ্রান্সের পতন হয়।
• ১৯৪০ সালে মিশর আক্রমণের মাধ্যমে ইতালিয়ান ও জার্মান বাহিনী ব্রিটিশ অধিভূক্ত উত্তর আফ্রিকা আক্রমণ করে।
• ৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ জাপান যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবার (রণপোতাশ্রয়) আক্রমণ করে। এতে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
• ১৮৪৩ সালে ইতালির পতন হয়।
• D-Day: ৬ জুন ১৯৪৪ বিপুল সংখ্যক মিত্রবাহিনী ফ্রান্সের নরমান্ডিতে অবতরণ করে। মিত্রবাহিনী ইউরোপের মূল ভূখণ্ড জার্মান দখলমুক্ত করার জন্য এ অভিযান পরিচালনা করে। এই দিনটি D-Day হিসাবে উদযাপিত হয় ।
• V-E Day (Victory over Europe Day):
• ৮ মে ১৯৪৫ নাৎসী জার্মান বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। এই দিনটি V-E Day হিসাবে উদযাপিত হয়।
• যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা 'লিটল বয়' এবং এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা 'ফ্যাটম্যান' নিক্ষেপ করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হেনরি ট্রুম্যান এই বোমা ফেলার নির্দেশ দেন।
- যুদ্ধ পরবর্তী বিচার :
• V-J Day (Victory over Japan Day): ১৪ আগস্ট ১৯৪৫ জাপান যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। এই দিনটি V-J Day হিসাবে উদযাপিত হয়।
• ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
• ২১ নভেম্বর ১৯৪৫-১ অক্টোবর ১৯৪৬ জার্মানির ন্যুরেমবার্গে ধৃত নাৎসী জার্মান যুদ্ধবন্দীদের বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
- ফলাফল :
• বিশ্বের পরাশক্তি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের আবির্ভাব হয়।
• বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের জন্ম হয়।
- মহাযুদ্ধোত্তর সম্মেলন ও জাতিসংঘ গঠনের প্রস্তাব :
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর আমেরিকা, ব্রিটেন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়া মিলিত হয়ে যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ করে তেহরান সম্মেলনের মাধ্যমে।
১৯৪৩ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট,
ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চার্চিল এবং সোভিয়েত সেক্রেটারি জেনারেল স্ট্যালি যুদ্ধপরবর্তী শান্তির জন্য এক বৈঠকে জাতিসংঘ গঠনে একমত হন।
- COMECON 'কমেকন' :
২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পরাজয় এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিধ্বস্ত অবস্থা পূর্ব ইউরোপকে এক অর্থে অভিভাবক শূন্য করে ফেলে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সম্মতিতে ইয়াল্টা কনফারেন্সের মাধ্যমে স্ট্যালিনের রাশিয়া পূর্ব ইউরোপের অভিভাবকত্ব পায়। প্রথমে স্ট্যালিন সরাসরি
পূর্ব ইউরোপে কম্যুনিস্ট শাসন চাপিয়ে দেয় নাই তবে ধাপে ধাপে প্রতিটা দেশেই (পোলান্ড, হাঙ্গেরী, চেকোস্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া)
কম্যুনিস্ট দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু ঝামেলা বাধে অল্পদিনেই কারণ পূর্ব ইউরোপীয়ান কম্যুনিস্টদের মাঝে বিভক্তি। এক দল ছিল
যারা জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় মস্কোতে কাটিয়েছে ওদের ধারণা ছিল শতভাগ মস্কোর আনুগত্য। মস্কো যা করে সেটা ফলো করা এবং
মস্কোর উপদেশই ওদের সব। কিন্তু আরেকদল ছিল, ওরাও কম্যুনিস্ট কিন্তু মস্কোর কথাই শেষ বলে না মেনে নিজ দেশের পরিস্থিতি ও
সমাজ অনুযায়ী কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে চেয়েছিল। যাদের বলা হতো, জাতীয়তাবাদী সোশ্যালিস্ট। জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিকদের
আদর্শ হয়ে উঠে, যুগোশ্লাভিয়ার মার্শাল টিটো। সমাজতন্ত্রের পথে দুটি ধারার সৃষ্টি হয়, স্ট্যালিনিজম এবং টিটোইজম।
এই পর্যায়ে সোভিয়েত দেশগুলোর মাঝে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠন করা হয় 'কমেকন'। এবং স্ট্যালিন শাস্তি স্বরূপ
টিটো যুগোস্লাভিয়াকে এই জোটে নিষিদ্ধ করে এবং অন্যান্য সদস্যদের সাথে যুগোস্লাভিয়ার বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
ফলে প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যুগোস্লাভিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য শুরু এবং বেশ কিছু আর্থিক সাহায্যও পায়।
- মিত্রবাহিনীর নেতা :
• সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্ট্যালিন
• যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টোন চার্চিল
• মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট
• মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান
- অক্ষ শক্তির নেতা :
• জার্মানির চ্যান্সেলর এডলফ হিটলার
• ইতালির প্রেসিডেন্ট বেনিতো মুসোলিনি
• জাপানের সম্রাট হিরোহিতো
আরব ইসরাইল যুদ্ধ
- প্রথম আরব ইসরাইল যুদ্ধ
- দ্বিতীয় আরব ইসরাইল যুদ্ধ বা সুয়েজ সঙ্কট
- তৃতীয় আরব ইসরাইল যুদ্ধ
- চতুর্থ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ
প্রথম আরব ইসরাইল যুদ্ধ
- সময়কাল : মে ১৯৪৮- মার্চ ১৯৪৯
- ফলাফল :ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
দ্বিতীয় আরব ইসরাইল যুদ্ধ বা সুয়েজ সঙ্কট
- সময়কাল : ২৯ অক্টোবর-৬ নভেম্বর, ১৯৫৬
- পক্ষসমূহ : মিশর বনাম ইসরাইল-ফ্রান্স-ব্রিটেন
- ফলাফল : মিশর সুয়েজখাল জাতীয়করণ করে।
তৃতীয় আরব ইসরাইল যুদ্ধ
- সময়কাল : ৫-১০ জুন, ১৯৬৭
- অন্য নাম : ছয় দিনের যুদ্ধ
- স্থান : মধ্যপ্রাচ্য
- বিজয়ী : ইসরাইল
- প্রতিপক্ষ : মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক
- ফলাফল : ইসরাইল মিশরের গাজা এবং সিনাই উপদ্বীপ, সিরিয়ার গোলান মালভূমি, জর্ডানের পশ্চিম তীর (পূর্ব জেরুজালেমসহ) দখল করে নেয়।
চতুর্থ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ
- সময়কাল : ৬-২৬ অক্টোবর ১৯৭৩
- বিজয়ী : ইসরাইল
- ফলাফল :
আরব-ইসরাইল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সহায়তা করে। এজন্য আরবদেশগুলো ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরাইলের
অন্যান্য সহযোগী দেশে তেল রপ্তানির উপর নিষেধজ্ঞা আরোপ করে। এতে তেলের মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল সিনাই উপত্যকা
এবং গোলান মালভূমি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করলে ওপেক ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে তেল নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়।
কোরীয় যুদ্ধ
- পক্ষসমূহ : মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সক্ষিণ কোরিয়া বনাম সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থনপুষ্ট উত্তর কোরিয়া ও চীন
- সময়কাল : ১৯৫০-৫৩ খ্রিস্টাব্দ
- ফলাফল : জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ
- পক্ষসমূহ : যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স পক্ষ নেয় দক্ষিণ ভিয়েতনামের।
- সময়কাল : ১৯৫৫ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম এর মধ্যে।
- ফলাফল :
• ভিয়েতনাম ওয়াল - প্যারিসে ভিয়েতনাম যুদ্ধের স্মৃতি।
• ১৯৭৩ সালে প্যারিস শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসানের একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত হলেও ৩০ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে তৎকালীন দক্ষিণ ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গনের পতনের মধ্য দিয়ে স্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান হয়।
• দুই ভিয়েতনাম একত্রিত হয় ১৯৭৬ সালে ২ জুলাই।
ইরান-ইরাক যুদ্ধ
- সময়কাল : ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০- ২০ আগস্ট ১৯৮৮
- প্রেক্ষাপট : শাত-ইল-আরবের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইরাক ২২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ ইরান আক্রমণ করে। এভাবে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সূচনা হয়।
- যুদ্ধবিরতি :
• প্রেসিডেন্ট মরহুম শহীদ জিয়াউর রহমান ইরাক ইরান যুদ্ধ বন্ধের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন ।
• জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুদ্ধ বন্ধ হয়।
ফকল্যান্ড যুদ্ধ
- সময়কাল : ২ এপ্রিল ১৯৮২-১৪ জুন ১৯৮২
- স্থান : ফকল্যান্ড দ্বীপ, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর
- ঘটনাপ্রবাহ : ২ এপ্রিল ১৯৮২ আর্জেন্টিনা ব্রিটেনের
কাছ থেকে ফকল্যান্ড দ্বীপটি দখল করে নেয়। ১৪ জুন, ১৯৮২ ব্রিটেনের নিকট আর্জেন্টিনার আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ফকল্যান্ড যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।
- বিজয়ী : ব্রিটেন
- বিপক্ষশক্তি : আর্জেন্টিনা
- সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান কর্তৃক ঘোষিত স্ট্রেটেজিক ডিফেন্স ইনিসিয়েটিভ এর জনপ্রিয় নাম ছিল : তারকা যুদ্ধ
ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ
- প্রথম যুদ্ধ : ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১
- দ্বিতীয় যুদ্ধ : ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৬
- তৃতীয় যুদ্ধ : ১৯৭১ (৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ই ডিসেম্বর)
- চতুর্থ যুদ্ধ : ১৯৯৯ (কারগিল যুদ্ধ নামে পরিচিত)
- প্রথম যুদ্ধ :
ভারত নিয়ন্ত্রণে নেয়:
১. কাশ্মীর উপত্যকা
২. জম্মু ও লাদাখ
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণে নেয়:
১. আজাদ কাশ্মীর
২. বালটিস্তান
- দ্বিতীয় যুদ্ধ : ১৯৬৬ সালের ১০ই জানুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও আইয়ুব খান এর মধ্যে তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়।
- তৃতীয় যুদ্ধ : ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি হয়।
উপসাগরীয় যুদ্ধ
- ০২ আগস্ট ১৯৯০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১
- ইরাক বনাম কুয়েত (কুয়েতের সঙ্গী ছিল সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিশর, সিরিয়া)
- কুয়েত ও তার জোট জয়ী।
- অন্য নাম - কুয়েত যুদ্ধ/পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ।
- অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড ও স্টর্ম এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়।