বর্তমানে ইউরোপ মহাদেশে ৫০ টি দেশ রয়েছে এবং ৯ টি ভাষা প্রচলিত রয়েছে। ইউরোপ হল বৃহত্তর ইউরেশিয়া মহাদেশের পশ্চিম অংশে অবস্থিত একটি মহাদেশ। উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর, পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর, দক্ষিণে ভূমধ্যসাগর, এবং পূর্বে ইউরাল পর্বতমালা, কৃষ্ণ সাগর এবং ককেশাস পর্বতমালা দ্বারা এটি সীমাবদ্ধ।
ইউরোপের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
- আয়তন: 10,180,000 বর্গ কিলোমিটার (3,930,000 বর্গ মাইল)
- জনসংখ্যা: 747 মিলিয়ন (2023 অনুমানমূলক)
- দেশ: ৫০টি সার্বভৌম রাষ্ট্র
- সর্বাধিক জনবহুল দেশ: রাশিয়া (145.8 মিলিয়ন)
- সবচেয়ে ছোট দেশ: ভ্যাটিকান সিটি (825 জন)
- সবচেয়ে উঁচু পর্বত: এলব্রাস (5,642 মিটার)
ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল
ইউরোপকে ঐতিহাসিকভাবে পাঁচটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা যায় যথাঃ
- পশ্চিম ইউরোপ
- মধ্য ইউরোপ
- পূর্ব ইউরোপ
- উত্তর ইউরোপ
- দক্ষিণ ইউরোপ
পশ্চিম ইউরোপ
পশ্চিম ইউরোপ ইউরোপ মহাদেশের একটি অঞ্চল । এই অঞ্চলটি তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং উচ্চ স্তরের জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত। পশ্চিম ইউরোপের ইতিহাস রোমান সাম্রাজ্যের পতনের সাথে শুরু হয়। রোমানদের পতনের পর, এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ছোট রাজ্য এবং রাজতন্ত্রের উত্থান ঘটে। মধ্যযুগে, পশ্চিম ইউরোপ খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং ক্যাথলিক চার্চ এই অঞ্চলে শক্তিশালী শক্তি হয়ে ওঠে। এই অঞ্চলটি শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত এবং স্থাপত্যের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের জন্মস্থান। পশ্চিম ইউরোপীয় খাবারও বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। পশ্চিম ইউরোপ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং উন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এই অঞ্চলের অর্থনীতি পরিষেবা, উৎপাদন এবং কৃষির উপর ভিত্তি করে। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো নিম্নরুপঃ
দেশ | রাজধানী |
---|---|
অস্ট্রিয়া | ভিয়েনা |
ফ্রান্স | প্যারিস |
জার্মানি | বার্লিন |
বেলজিয়াম | ব্রাসেলস |
নেদারল্যান্ড | আমস্টারডাম; প্রশাসনিক- দি হেগ |
লুক্সেমবার্গ | লুক্সেমবার্গ |
ইতালি | রোম |
সান ম্যারিনো | সান ম্যারিনো |
স্পেন | মাদ্রিদ |
অ্যান্ডোরা | অ্যান্ডোরা লা ভিলা |
সুইজারল্যান্ড | বার্ন |
পতুর্গাল | লিসবন |
যুক্তরাজ্য | লন্ডন |
আয়ারল্যান্ড | ডাবলিন |
মোনাকো | মোনাকো |
ভ্যাটিকান সিটি | ভ্যাটিকান সিটি |
মধ্য ইউরোপ
মধ্য ইউরোপ ইউরোপ মহাদেশের একটি অঞ্চল যা চেক রিপাবলিক, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং লিচেস্টেনের সমন্বয়ে গঠিত। এই অঞ্চলটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। মধ্য ইউরোপের দেশ ও রাজধানী নিম্নরুপঃ
দেশ | রাজধানী |
---|---|
চেক রিপাবলিক | প্রাগ |
হাঙ্গেরি | বুদাপেস্ট |
পোল্যান্ড | ওয়ারস |
স্লোভাকিয়া | ব্রাটিশ্লাভা |
লিচেস্টেন | ভাডাউজ |
পূর্ব ইউরোপ
পূর্ব ইউরোপ ইউরোপ মহাদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি অঞ্চল। এটি রাশিয়া , বেলারুশ, ইউক্রেন, মোলডাভিয়া, জর্জিয়া , আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া নিয়ে গঠিত। ঐতিহাসিকভাবে, এই অঞ্চলটি বিভিন্ন সাম্রাজ্য এবং রাজতন্ত্র দ্বারা শাসিত হয়েছে, যার ফলে একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। পূর্ব ইউরোপের দেশ ও রাজধানী নিম্নরুপঃ
দেশ | রাজধানী |
---|---|
রাশিয়া | মস্কো |
বেলারুশ | মিনস্ক |
ইউক্রেন | কিয়েভ |
মোলডাভিয়া | কিশিনেভ |
ট্রান্স ককেশিয়ান অঞ্চল | |
জর্জিয়া | তিবলিসি |
আজারবাইজান | বাকু |
আর্মেনিয়া | ইয়েরেভান |
- রাশিয়া: জনসংখ্যা ও আয়তনে ইউরোপের বৃহত্তম দেশ। ভ্লাদিভস্টক [Vladivostok] : রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের সর্ববৃহৎ শহর।
- ইউক্রেন স্বাধীন হয় ১৯৯১ সালে।
- বহু শতাব্দী যাবৎ ফিনল্যান্ড বিরোধী শক্তি সুইডেন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সীমান্ত দেশ হিসেবেই বিদ্যমান ছিল। ৭০০ বছর সুইডেনের অধীনে শাসিন হবার পর ১৮০৯ সালে এটি রুশদের করায়ত্ত হয়। রুশ বিপ্লবের পর ১৯১৭ সালে এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়।
- দক্ষিণ ওশেটিয়া: জর্জিয়ার অংশ ছিল। ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
- 'ফ্রিডম স্কয়ার' আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অবস্থিত। এর অন্য নাম 'আজাদি স্কয়ার'।
- নাগার্নো-কারাবাখ: আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার একটি করিডোর। ১৯৯৪ সালে এ অঞ্চলটি নিয়ে দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয় ।
- ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান এ অঞ্চলের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্ততাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রাশিয়া।
উত্তর ইউরোপ
উত্তর ইউরোপ ইউরোপ মহাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত একটি অঞ্চল। এটি ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে, সুইডেন এবং যুক্তরাজ্যের অংশ (উত্তর আয়ারল্যান্ড) নিয়ে গঠিত। এই অঞ্চলটি তার ঠান্ডা জলবায়ু, দীর্ঘ শীত এবং সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। সাধারণত, উত্তর ইউরোপের দেশগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
১. স্ক্যান্ডিনেভিয়া : স্ক্যান্ডিনেভিয়া বা নর্ডিক অঞ্চল উত্তর ইউরোপের একটি ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক অঞ্চল। এই অঞ্চলটি ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন এবং কখনও কখনও রাশিয়ার কালিনিনগ্রাড ও যুক্তরাজ্যের উত্তর আয়ারল্যান্ডকেও অন্তর্ভুক্ত করে। এই ৫টি দেশকে একত্রে 'স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ' বা নর্ডিক অঞ্চলের দেশ বলা হয়। দেশ সমূহ নিম্নরুপঃ
দেশ | রাজধানী |
---|---|
ফিনল্যান্ড | হেলসিংকি |
ডেনমার্ক | কোপেনহেগেন |
আইসল্যান্ড | রিকজাভিক |
সুইডেন | স্টকহোম |
নরওয়ে | অসলো |
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সমূহ মনে রাখার কৌশলঃ ফিডে আসুন। এখানে ফি = ফিনল্যান্ড , ডে = ডেনমার্ক , আ = আইসল্যান্ড , সু = সুইডেন , ন = নরওয়ে ।
২. বাল্টিক দেশ সমূহ : এস্তোনিয়া , লাটভিয়া , লিথুয়ানিয়া এই তিনটি দেশকে একত্রে বাল্টিক দেশ বলা হয় । দেশ সমূহের রাজধানী নিম্নরুপ:
দেশ | রাজধানী |
---|---|
এস্তোনিয়া | তাল্লিন |
লাটভিয়া | রিগা |
লিথুয়ানিয়া | ভিলনিয়াস |
বাল্টিক দেশ সমূহ মনে রাখার কৌশলঃ ALL । এখানে A = এস্তোনিয়া , L = লাটভিয়া , L = লিথুয়ানিয়া
দক্ষিণ ইউরোপ
দক্ষিণ ইউরোপ ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি অঞ্চল। এই অঞ্চলটি তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, মনোরম ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়া এবং সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। দক্ষিণ ইউরোপের দেশ সমূহ নিম্নরুপঃ
দেশ | রাজধানী |
---|---|
মাল্টা | ভেলেটা |
আলবেনিয়া | তিরানা |
বসনিয়া হার্জেগেভিনা | সারায়েভো |
বুলগেরিয়া | সোফিয়া |
ক্রোয়েশিয়া | জাগরেব |
গ্রিস | এথেন্স |
কসোভো | প্রিস্টিনা |
মেসিডোনিয়া | স্কপি |
সার্বিয়া | বেলগ্রেড |
মন্টিনিগ্রো | পোডগোরিকো |
রুমানিয়া | বুখারেস্ট |
স্লোভেনিয়া | লুবজানা |
বলকান রাষ্ট্র : বলকান রাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। 'বলকান' তুর্কি শব্দ। এর অর্থ 'এক সারি পর্বত' [The Chain of Mountain]| বলকান পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশসমূহ 'বলকান রাষ্ট্র' নামে পরিচিত। এই অঞ্চলটি তার জটিল ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য পরিচিত। বলকান রাষ্ট্র সমূহ মনে রাখার কৌশলঃ
ক্রোড়পতি গিরিশের মনটা সর্বদা MBBS পড়ুয়া ক্লাসিক্যাল রুমার জন্য আকুল । এখানে-
- ক্রোড়পতি = ক্রোয়েশিয়া
- গিরিশের = গ্রিস
- মনটা = মন্টিনিগ্রো
- সর্বদা = সার্বিয়া
- M = মেসিডোনিয়া
- B = বুলগেরিয়া
- B = বসনিয়া
- S = স্লোভেনিয়া
- ক্লাসিক্যাল = কসোভো
- রুমার = রুমানিয়া
- আকুল = আলবেনিয়া
ইউরোপ মহাদেশ সম্পর্কে তথ্য
- ইউরোপের বৃহত্তম সাগর : ভূমধ্যসাগর।
- দীর্ঘতম পর্বতমালা হল : আল্পস।
- ডেনমার্কের অধীনে বৃহত্তম দ্বীপ হল : গ্রীনল্যান্ড ।
- বৃহত্তম উপদ্বীপ : স্ক্যান্ডিনেভিয়া।
- বৃহত্তম হ্রদ : লাডোগা হ্রদ।
- দীর্ঘতম নদী : ভলগা।
- ইউরোপের ককপিট বলে : বেলজিয়ামকে।
- গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা : ডেনমার্ক।
- বিশ্বের বৃহত্তম সুরঙ্গ পথ : গোথার্ড বেসটানেল সুইজারল্যান্ড।
- ইউরোপের দ্বার বলা হয় : ভিয়েনাকে।
- ট্রান্স ককেশিয়ান অঞ্চল : জর্জিয়া, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াকে বলে।
- ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ : আলবেনিয়া, কসোভো, তুরস্ক।
- মলদোভার রাজধানীর নাম : কিশিনাউ।
- বলকানের কসাই নামে পরিচিত : শ্লোবেদান মিলোসেভিচ।
- সর্বপ্রথম খ্রিস্টান ধর্মকে রাষ্ট্র ধর্ম ঘোষণা করে : আর্মেনিয়া
- নেদারল্যান্ডের অধিবাসীদের ডাচ বা ওলন্দাজ বলা হয়। ডেনমার্ক থেকে আসা অধিবাসীদের বলা হয় দিনেমার ।
- লুজান শহর সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত।
- জর্জিয়াতে রোজ বিপ্লব হয় ২০০৩ সালে।
- রাজধানী তিবলিসি [ কুরা নদীর তীরে ]
- Bad place of wine বলে। - বেলারুশকে সাদা রাশিয়া বলে
- ১৯৯৩ সালে চেকোস্লাভিয়া ভেঙে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া গঠিত হয়।
- কোপেনহেগেন [ ডেনমার্ক এর রাজধানী ] জিল্যান্ড দ্বীপে অবস্থিত ।
- গ্রীনল্যান্ড এস্কি মোরা বাস করে ।
- স্থানীয় অধিবাসীরা ফিনল্যান্ডকে 'সুম্যেয়' বলে ডাকে।
- আইসল্যান্ড কে বলে 'আগুনের দ্বীপ'। একে 'মধ্যরাতের সূর্যের দ্বীপ'ও বলে।
- মার্বেলের দ্বীপ বলা হয় ইতালিকে।
- পান্নার দ্বীপ বলা হয় আয়ারল্যান্ডকে।
- অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আয়ারল্যান্ডকে বলা হয় 'The emerald isle".
- যুগোস্লাভিয়া ভেঙে সাতটি দেশ হয় ।
- বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন দেশ ভ্যাটিকান সিটি। ইটালির রোমের মাঝে অবস্থিত। একে হলি সিটিও বলে [ জাতিসংঘের সদস্য নয়] পোপ হল ভাটিকান সিটির প্রধান ।
- বলকানে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। বসনিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জিমি কার্টার। এই চুক্তি (ডেটন চুক্তি) ১৯৯৫ সালে ১৪ই ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়।
- অপেরা সংগীত প্রথম আসে ইতালিতে ।
- বিশ্বের প্রথম পোস্টকার্ড চালু হয় অস্ট্রিয়াতে ।
- পর্তুগালকে বলে মহাসমুদ্র অভিযাত্রীদের দেশ।
- নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে অবস্থিত 'সিফোল" এয়ারপোর্টের প্রকৃত নাম 'আমস্টারডাম অ্যায়ারপোর্ট সিফোল' [Amsterdam Airport Schiphol]| নেদারল্যান্ডের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ইউরোপের তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
- গ্রিসকে বলা হয় গণতন্ত্রের সৃতিকাগার । প্রাচীন গ্রিসে প্রথম গণতন্ত্রের সূচনা হয় এথেন্সে। তবে, প্রথম দিকে এথেন্সে ছিল রাজতন্ত্র । কালক্রমে পেরিক্লিস যুগে এথেন্স একটি চূড়ান্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাসে একমাত্র গ্রিসরাই এথেন্সে পোলিশ বা নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুলেছিল।
- নরওয়ে সুমেরু অর্থাৎ উত্তর মেরু বা উত্তর গোলার্ধের দেশ হওয়ায় মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সূর্যাস্ত গিয়ে সবসময়ই আকাশ আলোকিত রাখে, অর্থাৎ এসময়ে এখানে সূর্যকখনো সম্পূর্ণ অস্তমিত হয় না। এর ফলে এ সময় সারারাতে অন্ধকারের পরিবর্তে গোধূলির আলো বজায় থাকে। তাই বিশ্বজুড়ে এ দেশের পরিচিতি নিশীথ সূর্যের দেশ হিসেবে।
- বার্সেলোনা, জিরানো, লেইদা ও তারাগোনা এ চারটি প্রদেশ নিয়ে গঠিত কাতালোনিয়া স্পেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিত্তশালী একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এটির রাজধানী বার্সেলোনা। ১ অক্টোবর ২০১৭ সালে কাতালোনিয়ায় স্বাধীনতার জন্য গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। কাতালানদের নেতৃত্ব দেন কার্লোস পুজদেমন। কেন্দ্রীয় সরকার এ গণভোটে প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম খলনায়ক এডলফ হিটলার ১৯১৪ সালে সেনাবাহিনীর কর্পোরাল হন ১৯১৯ সালে তিনি নাৎসি পার্টিতে যোগদান করেন। ১৯২৩ সালে এক ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার অপরাধে ১৩ মাসের কারাভোগের সময় 'Mein Kampf' রচনা করেন এবং পরবর্তীতে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৩০ জানুয়ারি ১৯৩৩ জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন।
- জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হলো মোনাকো। ইউরোপের এই ছোট দেশটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র। আয়তন মাত্র ২ দশমিক শূন্য ২ বর্গ কিলোমিটার। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২৫ হাজার ৭শ ১৮ জন মানুষের বসবাস।
- বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সরকারপ্রধান: অস্ট্রিয়ার পিপলস পার্টির নেতা সেবাস্তিয়ান কুর্জ
রাশিয়া
রাশিয়ার সম্রাট [১৭২১-১৯১৭] : রাশিয়ার ইতিহাসে সম্রাটদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার সম্রাটদের জার বলা হত। এ সময় রাশিয়ার রাজধানী ছিল সেন্টপিটার্সবার্গ। ১৭২১ সালে পিটার দ্য গ্রেট রাশিয়ার প্রথম সম্রাট হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিনি দাড়ির উপর কর বসিয়েছিলেন। এরপর ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের মাধ্যমে সম্রাটত্বের অবসান ঘটার আগ পর্যন্ত দ্বিতীয় নিকোলাস জার রাশিয়া শাসন করে। তিনি ছিলেন রাশিয়ার সর্বশেষ সম্রাট। রাশিয়াকে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পিতৃভূমি বলা হয় ।
রুশ বিপ্লব / বলশেভিক বিপ্লব / অক্টোবর বিপ্লব :
প্রথম পর্যায় : ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পেট্রোগ্রাডে শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়।
জার দ্বিতীয় নিকোলাস বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ হলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ডুমার নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ 'অস্থায়ী রাশিয়ান সরকার' গঠন করেন।
দ্বিতীয় পর্যায়: অস্থায়ী রাশিয়ান সরকার জনগণের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে দেশে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। বলশেভিক দলের নেতা লেলিন বিপ্লবের ডাক দেন। তাঁর সহকর্মী ট্রটস্কি ও স্ট্যাটিলের সহায়তায় শাসন ক্ষমতা দখল করেন। ১৯১৭ সালের অক্টোবরে সংঘটিত সাড়া জাগানো এ রুশ বিপ্লবের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১০দিন। এই বিপ্লব 'অক্টোবর বিপ্লব' নামেও পরিচিত। রুশ বিপ্লবের পর ১৯১৮ সালের ১২ মার্চ রাশিয়ার রাজধানী পেট্রোগ্রাড হতে মস্কোয় স্থানান্তর করা হয়।
ভ্লাদিমির লেনিন :
- রুশ বিপ্লবের মহান নায়ক ।
- পুরো নাম: ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন।
- ১৭ এপ্রিল ১৯১৭ তে এপ্রিল থিসিস দেন।
- ১৯২৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃতদেহ মস্কোর রেড স্কোয়ারে লেলিন যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
রেড আর্মি : রুশ বিপ্লব ও রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের সময়কালীন বিপ্লবী রুশ বাহিনী 'রেড আমি' নামে খ্যাতি লাভ করে। পরবর্তীতে সোভিয়েত সেনাবাহিনীর নাম 'রেড আর্মি' করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সোভিয়েত সেনাবাহিনীর নাম রেড আর্মি'র পরিবর্তে 'সোভিয়েত আর্মি' রাখা হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন : ১৯২২ সালের ১২ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়। এটি পৃথিবীর প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৯১ সালে ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে ১৫টি রাষ্ট্র গঠিত হয়। যথা-
- রাশিয়া
- মালদাভিয়া
- বেলারুশ
- জর্জিয়া
- আজারবাইজান
- আর্মেনিয়া
- কাজাকিস্তান
- উজবেকিস্তান
- তুর্কমেনিস্তান
- তাজাকিস্তান
- কিরঘিজস্তান
- ইউক্রেন
- এস্তোনিয়া
- লিথুয়ানিয়া
- লাটভিয়া
Common Wealth of Independent States [CIS] :
- প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯১ সালের ৮ ডিসেম্বর।
- সদর দপ্তর : মিনস্ক, বেলারুশ ।
- সদস্য: প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের ১০টি দেশ।
• রাশিয়া
• মালদাভিয়া
• বেলারুশ
• আজারবাইজান
• আর্মেনিয়া
• কাজাকিস্তান
• উজবেকিস্তান
• তুর্কমেনিস্তান
• তাজাকিস্তান
• কিরঘিজস্তান - অংশগ্রহণকারী দেশ : ইউক্রেন
- প্রাক্তন সদস্য: জর্জিয়া ।
মিখাইল গর্ভাচেভ :
- ১৯৮৫-৯০ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৮-১৯৯১ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ।
- Perestroika: পেরেস্ত্রইকা শব্দের অর্থ সংস্কার বা পুনর্গঠন । গর্ভাচের ১৯৮৭ এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি চালু করেন ।
- Glasnost: গ্লাস্তনস্ত অর্থ খোলামেলা আলোচনা। গর্বাচেভ ছিলেন এই নীতির প্রবক্তা। এই নীতির কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের জনগণ খোলামেলাভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পায়।
চেচনিয়া সমস্যা : ককেশাস অঞ্চল অবস্থিত মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর অঞ্চলটি স্বাধীনতা ঘোষণা করে। প্রথম চেচেন যুদ্ধের [১৯৯৪-১৯৯৬] পর এ অঞ্চলটি মূলত স্বাধীন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধের [১৯৯৯-২০০০] পর রাশিয়া এ অঞ্চলে কর্তৃত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়।
রুশ ফেডারেশন :
- প্রতিষ্ঠাকাল: ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯১
- সরকার ব্যবস্থা: ফেডারেল আধারাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্র।
- রাষ্ট্রপ্রধান: ভ্লাদিমির পুতিন।
- সরকার প্রধান: দিমিত্রি মেদভেদেভ।
- ক্ষমতাসীন দল: ইউনাইটেড রাশিয়া।
- ক্রেমলিন : রাশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাজধানী মস্কো শহরের মস্কোভা নদীর উত্তরে অবস্থিত বিখ্যাত ক্রেমলিন কমপ্লেক্স দেশটির প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- আইনসভা : রাশিয়ার দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার নাম ফেডারেল অ্যাসেম্বলি। দেশটির নিম্নকক্ষ 'স্টেট ডুমা' এবং উচ্চকক্ষ 'ফেডারেল কাউন্সিল'।
- সীমানা : আর্কটিকের বৃহত্তম সীমান্ত রাশিয়ার সাথে অবস্থিত।
- ভিয়েতনামে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটির সুবিধা বিদ্যমান।
ফ্রান্স
ফরাসি বিপ্লব : ফরাসি বিপ্লব ছিল ১৭৮৯ সালে শুরু হওয়া এক সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়কাল যা ফ্রান্সকে রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত করে। ফরাসি বিপ্লবের মূল শ্লোগান, "ভ্রাতৃত্ব, সমতা ও স্বাধীনতা [Liberty , Equality and Fraternity]"। এই শ্লোগানের প্রবক্তা ছিলেন রুশো । দুই জন দার্শনিক [ রুশো ও ভলটেয়ার ] লেখনীর মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গের পতন হয়- যা ফরাসি বিপ্লবের একটি মাইলস্টোন। ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন ষোড়শ লুই। ১৭৯৩ সালের ২১ জানুয়ারি শত সহস্র দর্শকের সম্মুখে রাজা ঘোড়শ লুইকে গিলোটিনে শিরশ্ছেদ করা হয়। নেপোলিয়নকে 'ফরাসি বিপ্লবের শিশু' বলা হয়। ১৭৯৯ সালে নেপোলিয়নের উত্থানের মাধ্যমে ফরাসি বিপ্লবের সমাপ্তি ঘটে ।
নেপোলিয়ন বোনাপোর্ট : নেপোলিয়ন ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ইতালির কর্সিকা দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ফ্রান্সের বিখ্যাত সেনাপতি ও সম্রাট। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ফ্রান্সর প্রথম কনসুল (First Consul] পদে অধিষ্ঠিত হয়ে ফ্রান্সের ক্ষমতায় আসেন। ১৮০৪ সালের ১৮ মে ফ্রান্সের সিনেট নেপোলিয়নকে ফ্রান্সের সম্রাট ঘোষণা করে। তাঁর রাজত্বকালে ফ্রান্স ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু ১৯১২ সালে রাশিয়া আক্রমণ করলে তাঁর ভাগ্য বিপর্যয় শুরু হয়। ১৮১৫ সালে ওয়াটার'লুর যুদ্ধে ব্রিটেনের নিকট পরাজিত হন এবং নির্বাসিত অবস্থায় ১৮২১ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের। সেন্ট হেলেনা দ্বীপে এই মহান নেতা শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন।
চার্লস ডি গ্যালে : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ সালে জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাতে ফ্রান্সের পতন হলে চার্লস ডি গলে ফ্রান্সের মুক্তি বাহিনী [Free France Forces] গঠন করেন। তিনি ফ্রান্সের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক ছিলেন। তিনি ফ্রান্স রিপাবলিকের ১৮তম প্রেসিডেন্ট (১৯৫৯-১৯৬৯) ছিলেন।
ফ্রান্সের সরকার ব্যবস্থা: ফ্রান্স একটি আধা-রাষ্ট্রপতি শাসিত গণতন্ত্র । এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধান একজন রাষ্ট্রপতি এবং একজন প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হিসেবে কাজ করেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ এবং প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ। বর্তমানে প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল ৫ বছর । যা পূর্বে ৭ বছর ছিল । বর্তমান ক্ষমতাসীন দল "লা রেপ্যুব্লিক অঁ মার্শ" । ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবনের নাম “এলিসি প্রাসাদ” । এটির নির্মাণকাল ১৭১৮-১৭২২খ্রি: ।
আইফেল টাওয়ার: আইফেল টাওয়ার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের একটি বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক এবং ফ্রান্সের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ টাওয়ারটি পরিদর্শন করে। টাওয়ারটি প্যারিসের সীন নদীর তীরে অবস্থিত। এর চারপাশে "Champ de Mars" নামক বিশাল উদ্যান রয়েছে। ৩১ মার্চ, ১৮৮৯ সালে "Exposition Universelle" (বিশ্বব্যাপী মেলা) উপলক্ষে এটি উদ্বোধন করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ারগুলির মধ্যে একটি যার উচ্চতা ৩২৪ মিটার [১০৬৩ ফুট]। টাওয়ারটির ডিজাইন করেছিলেন গুস্তাভ আইফেল। আইফেল ছিলেন একজন ফরাসি প্রকৌশলী। টাওয়ারটি নির্মাণে দুই বছর দুই মাস সময় লেগেছিল। টাওয়ারে মোট ১৭৯২ টি সিঁড়ি রয়েছে। দর্শনার্থীরা লিফট বা সিঁড়ি ব্যবহার করে টাওয়ারের চূড়ায় যেতে পারেন।
চ্যানেল টানেল : ৫০.৫ কিমি [৩১.৪ মাইল] দীর্ঘ এই রেল চ্যানেলটি ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যকে ইংলিশ চ্যানেলের নিচ দিয়ে সংযুক্ত করে। এই চ্যানেলটি পরিচালনা করে 'ইউরো টানেল' নামক একটি প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র সমুদ্রের তলদেশের অংশের বিবেচনায় এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম টানেল। সামগ্রিক দৈর্ঘ্যের বিবেচনায় পৃথিবীর বৃহত্তম টানেল ৫৩.৮৫ কিমি দীর্ঘ জাপানের সেইকান টানেল [Seikan Tunnel]।
সামন্তবাদ : মধ্যযুগে ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের প্রভাব খর্ব হলে স্থানীয় শাসনভিত্তিক সামন্তবাদের উত্থান ঘটে। ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ 'সামন্তবাদ' সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্তির ঘোষণা দেয় ৪ আগষ্ট, ১৭৮৯।
জার্মানি
সরকার:
- সরকার ব্যবস্থা : সংসদীয় গণতন্ত্র
- রাষ্ট্রপ্রধান : ফ্রাংক ওয়াল্টার স্টেইনমিয়া।
- সরকার প্রধান : চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।
- ক্ষ্মতাসীন দল : Christian Democratic Union [CDU]
চ্যান্সেলর :
- প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য পদ।
- জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর অটোভন বিসমার্ক। [১৮৭১-৯০]
- তিনি আধুনিক জার্মানির প্রতিষ্ঠাতা।
- অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলর।
এডলফ হিটলার: এডলফ হিটলার ১৮৮৯ সালে অস্ট্রিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি National Socialist German Worker's Party সংক্ষেপে নাৎসি পার্টির [Nazi Party] নেতা ছিলেন। তার বিখ্যাত গ্রন্থ মেইন ক্যাম্প [Mein Kampf] ইংরেজি অর্থ 'My Struggle' ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হয়। এটি তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তার রাজনৈতিক মতাদর্শ তুলে ধরেন। তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন। ১৯৩৩ সালে তিনি গোপন পুলিশ বাহিনী 'গেস্টাপো' [Gestapo] গঠন করেন। হিটলারের উগ্র জাতীয়তাবাদ নীতির জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু হয়। ১৯৪৫ সালের ৩০ মে বার্লিনের ফুয়েরার বাঙ্কারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন । হিটলারের নীতি - 'এক জাতি, এক রাষ্ট্র, এক নেতা' ।
বার্লিন প্রাচীর: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির নিয়ন্ত্রণ নেয় মিত্রশক্তি। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে চার ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় দেশটি। একইভাবে রাজধানী বার্লিনও চার ভাগে বিভক্ত হয় । পরে ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত নিয়ন্ত্রণে থাকা পূর্ব জার্মানিকে 'জার্মান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক' হিসাবে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বাকি তিনদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকা জার্মানির অংশকে একীভূত করে 'ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি' গঠন এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থা চালু করা হয়। সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত পূর্ব জার্মানির কমনিস্ট শাসকেরা ১৯৬১ সালে পশ্চিম জার্মানি থেকে আলাদা হওয়ার জন্য শহরের মাঝ দিয়ে ১৫৫ কি.মি. লম্বা কংক্রিটের প্রাচীর তুলে দিয়েছিল। পশ্চিম জার্মানির পুঁজিবাদের ধাক্কা যেন কমনিস্ট শাসিত পূর্ব জার্মানিতে না লাগে, সেজন্যই তৈরি করা হয়েছিল এ বিভেদ প্রাচীর। এই বিভেদ প্রাচীরের পতন ঘটেছিল ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর। ১৯৯০ সালের ৩ অক্টোবর [মধ্যরাতে] দুই জার্মানি একীভূত হয়।
ডি-ডে [D-Day]: ১৯৪৪ সালের ৬ জুন নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে প্রায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার যৌথবাহিনীর সদস্য ফ্রান্সে অবতরণ করে। দিনশেষে প্রায় সাড়ে চার হাজার সৈন্য মারা যান, যা বিশ্বের সেনা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান। ফ্রান্সের নরম্যান্ডির উপকূলে ডি-ডে নামে খ্যাত ওই অভিযানের মধ্যে দিয়ে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনরি বিজয়ের সূচনা হয়।
ইতালি
ইউরোপে রেনেসাঁ :
- Renaissance ইতালিয়ান শব্দ। এর অর্থ 'rebirth' বা নবজীবন।
- ইউরোপের রেনেসাঁ বলতে ইউরাপের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে বোঝায়। 'রেনেসাঁস' শব্দের অর্থ পুনর্জাগরণ।
- সময়কাল: চতুর্দশ - সপ্তদশ শতাব্দী। ইউরোপে রেনেসাঁ শুরু হয় ইতালির ফ্লোরেন্স শহর হতে।
- লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এবং মাইকেল অ্যাঞ্জেলাকে Renaissance man বলা হয়।
বেনিটো মুসোলিনী :
- ইতালির ৪০ তম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অক্ষশক্তির নেতা ছিলেন।
- তাঁর রাজনৈতিক দলের নাম ছিল জাতীয়তাবাদী ফ্যাসিস্ট পার্টি (National Fascist Party]
- তিনি ফ্যাসিজমের প্রবর্তক
সরকার :
- সরকার ব্যবস্থা: সংসদীয় গণতন্ত্র।
- রাষ্ট্রপ্রধান: প্রেসিডেন্ট সার্জিও মান্ডারেলা।
- সরকার প্রধান: প্রধানমন্ত্রী গিওসেপেপ কন্তে।
- ক্ষমতাসীন জোট: Five star movement and The League.
- বাংলাদেশ স্কয়ার ইতালিতে অবস্থিত ।
- ইতালীয় নাগরিক ক্রিস্টোফা কলম্বাস ইতালির নাগরিক ছিলেন এবং ৩১ অক্টোবর ১৪৫১ জেনোয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ইংল্যান্ড, ওয়েলস, উত্তর আয়ারল্যান্ড (যুক্তরাজ্য অধিকৃত আয়ারল্যান্ড) , এবং স্কটল্যান্ড এর সমন্বয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত । যুক্তরাজ্য অনেকগুলো দ্বীপ নিয়ে গঠিত। দ্বীপগুলোকে একত্রে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এদের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বীপটির নাম বৃহৎ ব্রিটেন বা গ্রেট ব্রিটেন। যুক্তরাজ্যের অংশ ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস নিয়ে গঠিত এই গ্রেট ব্রিটেন। কাজেই গ্রেট ব্রিটেন কোন দেশ নয়; এটা একটা দ্বীপ।
সরকার :
- সরকার পদ্ধতি: বর্তমানে শাসনতান্ত্রিক রাজতন্ত্র। ১৬৮৮ সালে গৌরবময় বিপ্লবের [Glorious Revolution] মাধ্যমে ব্রিটেনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্র প্রচলিত আছে যুক্তরাজ্যে।
- রাষ্ট্রপ্রধান: রাজা তৃতীয় চার্লস ।
- সরকারপ্রধান: প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ।
- ক্ষমতাসীন দল: Conservative Party [রক্ষণশীল দল]
ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাস :
- ইংল্যান্ডের প্রথম রাজা ছিলেন আলফ্রেড দ্য গ্রেট।
- ১৬০৩ সালে সমগ্র ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের প্রথম রাজা হন ষষ্ঠ জেমস।
- ১৭০৭ সালে রানী অ্যানির রাজত্বকালে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড একত্রিত হয়ে 'গ্রেট ব্রিটেন'-এ পরিণত হয়।
- ১৮০১ সালে রাজা পঞ্চম জর্জ এর রাজত্বকালে গ্রেট ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ড একত্রিত হয়ে 'যুক্তরাজ্য'-এ পরিণত হয়।
রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড :
- রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড আমেরিকার একজন বিধবা হিলা ওয়ালিস সিম্পসনকে বিবাহ করেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণ সিম্পসনকে রানী হিসাবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এজন্য তিনি ১৯৩৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজসিংহাসন ত্যাগ করেন।
- যুক্তরাজ্যের বর্তমান সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আছেন রাজা তৃতীয় চার্লস ।
- প্রিন্সেস ডায়না ছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস এর প্রথম স্ত্রী।
- ১৯৯৭ সালে ৩১ আগস্ট ফ্রান্সের পন্ট ডি আলমা টানেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।
- ১৯ মে ২০১৮ জমকালো আয়োজনে ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি ও সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
- ইংল্যান্ডের রাজপরিবারের বাসভবনের নাম বাকিংহাম প্যালেস । এর অবস্থান ওয়েস্টমিনিস্টার সিটি, লন্ডন।
হোয়াইট হল : লন্ডনের হোয়াইট হল প্রাসাদ ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রাক্তন আবাসস্থল। এটি ১৫৩০ থেকে ১৬৯৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারের বাসভবন ছিল। এর নির্মাতা আইনগোজোনস। শুরুতে এটির নাম ছিল বানকুইটিং হাউস। ১৭৩৩-৩৭ সালে বানকুইটিং হাউস রাজস্ব ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৮৯৭ সালে এই হাউসটি হোয়াইট হল নাম ধারণ করে। বর্তমানে লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে হোয়াইট হল নামে একটি রোড আছে - এই রোডে ব্রিটিশ সরকারের অনেক প্রশাসনিক ভবন অবস্থিত। যুক্তরাজ্যের পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক [Union Jack] বা ইউনিয়ন ফ্লাগ [Union Flag] ।
সংবিধান : যুক্তরাজ্যের কোন লিখিত সংবিধান নেই। এটা প্রথা, আচার- আচরণ ও রীতি-নীতির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। লিখিত অংশ যে নেই তা নয়, তবে লিখিত অংশ খুব কম। সনদপত্র, আবেদনপত্র [Petition] এবং অন্যান্য শাসনতান্ত্রিক ঘটনাবলীর সমন্বয়ে এই সংবিধান গঠিত। এর মধ্যে ম্যাগনাকার্টা, পিটিশন অব রাইটস, বিল অব রাইটস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ডাউনিং স্ট্রিট :
- ডাউনিং স্ট্রিট লন্ডন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিখ্যাত সড়ক। ১৬৮০ সালে স্যার জর্জ ডাউনিং সড়কটি নির্মাণ করেন।
- ৯ নং ডাউনিং স্ট্রিট : ব্রিটেনের আইনসভার চীফ হুইপের কার্যালয়।
- ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন ও কার্যালয়
- ১১ নং ডাউনিং স্ট্রিট: ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়
- ১২ নং ডাউনিং স্ট্রিট: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস অফিস।
ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে : লন্ডনের একটি ঐতিহাসিক চার্চ। এখানে ব্রিটিশ রাজা- রানীদের সিংহাসনে আরোহনের অনুষ্ঠান এবং শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। ১৫৬০ সালে রানী প্রথম এলিজাবেথ এটি নির্মাণ করেন।
আইন সভা :
- ব্রিটেনের আইনসভার নাম পার্লামেন্ট [Parliament of United Kingdom of Great Britain and Northern Ireland] । আইনসভা দুই কক্ষবিশিষ্ট যথা-
১. হাউস অব লর্ডস [উচ্চকক্ষ ]
২. হাউস অব কমনস [নিম্নকক্ষ]
হাউস অব লর্ডসে সদস্য ৭৮২ জন
হাউজ অব কমন্সের সদস্য ৬৫০ জন - ৩২৬টি আসন হাউজ অব কমন্সে জিতলে সরকার গঠন করে ।
- ব্রিটেনের পার্লামেন্ট ভবনের নাম 'ওয়েস্টমিনিস্টার প্রাসাদ'। এটি লন্ডনের টেমস নদীর তীরে অবস্থিত।
সাধারণ নির্বাচন :
- পাঁচ বছর অন্তর অন্তর পার্লামেন্টের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত বৃহস্পতিবারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সরকার গঠনের জন্য পার্লামেন্টের ৬৪৯ জন সদস্যের মধ্যে ৩২৬ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয়।
- সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ৮ জুন, ২০১৭।
- ফলাফল: থেরেসা মে নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল দল- ৩১৭টি আসন
- ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী স্যার রবার্ট ওয়ালপোল
- ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী: মার্গারেট থ্যাচার (১৯৭৯-১৯৯০) । তিনি রাসায়নিক গবেষণাগারে কাজ করতেন। ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হেনরি আসকুইথ ও ডেভিড লয়েড জর্জ ।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলিন ও উইন্সটন চার্চিল ।
- ভারতে ১৯৪৩ সালের মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উইন্সটন চার্চিল কে দায়ী করা হয় ।
শিল্প বিপ্লব :
- নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের প্রভাবে শিল্পকারখানায় যে গুণগত পরিবর্তন দেশের আর্থ- সামাজিক সমৃদ্ধির পথ খুলে দেয় তার নাম শিল্প বিপ্লব। 'শিল্প বিপ্লব' শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফরাসি কুটনীতিক।
- সময়কাল: অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ- উনবিংশ শতাব্দী
- অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে (১৭৮০) ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। মূলত টেক্সটাইল খাতের বিকাশের মাধ্যমে এ বিপ্লবের সূচনা হয়।
- উনবিংশ শতাব্দীতে সমগ্র ইউরোপে শিল্প বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে।
- শিল্প বিপ্লবের ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের কুটির শিল্প ধ্বংস হয়।
স্থান | পরিচিতি |
---|---|
পলমল | লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার সিটিতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত সড়ক। |
ইন্ডিয়া হাউস | ইন্ডিয়া হাউজ হলো লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের নাম। এটি বুশ হাউস এবং অস্ট্রেলিয় হাই কমিশনের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত একটি বিল্ডিং, যেখানে ভারতীয় হাই কমিশনারের কার্যালয় রয়েছে। স্যার হারবার্ট বেকারের নকশা অনুসারে ১৯৩০ সালে এটি নির্মিত হয়। |
লন্ডন শহর | টেমস নদী ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত অন্যতম প্রধান একটি নদী। লন্ডন শহর এই নদীর তীরে অবস্থিত। লন্ডনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হবার করণেই এই নদী বিখ্যাত, অবশ্য আরও বেশ কিছু শহরের মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড, রেডিং এবং উইন্ডসব। নদীর নামের উৎপত্তি ঘটেছে টেমস উপত্যকা থেকে। এই উপত্যকাকে কেন্দ্র করেই টেমস নদী প্রবাহিত হয়েছে। |
ট্রাফাল্গার স্কোয়ার | লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি বিশ্বখ্যাত স্কোয়ার। এখানে রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। |
- স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বৃটিশ নিরাপত্তা সংস্থার নাম। বিশ্বখ্যাত এ পুলিশ সংস্থার সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত।
- ব্রিটেনের প্রথম পাবলিক মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
- ইউরোপের প্রথম ইকো মসজিদ: লন্ডনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রামেসির মিল রোডে। ২০০৮ সালে ড. টিমোথি উইন্টার উদ্যোগ নেন। ২৪ এপ্রিল ২০১৯ উদ্বোধন করা হয়।
- ২৬ জুন ২০১৮ - যুক্তরাজ্যের ইউরাপেীয় ইউনিয়ন ত্যাগ সংক্রান্ত BREXIT (যুক্তরাজ্যের ইইউ পরিত্যাগ) বিল আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত হয়।
- 'ভিক্টোরিয়া ক্রস' সর্বোচ্চ সামরিক পদক যা শত্রুর সম্মুখ সমরে অংশ নেয়ার অসম সাহসিকতা ও বীরত্বের জন্য প্রদান করা হয়। কমনওয়েলথভুক্ত দেশ ও সাবেক ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত উপনিবেশসমূহের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরকে এ পদক দেয়া হয়। পদকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য পদক হিসেবে স্বীকৃত যা অন্য যে-কোন স্তরের পদকের তুলনায় সর্বোৎকৃষ্ট। ভিক্টোরিয়া ক্রসকে সংক্ষেপে 'ভিসি' নামে অভিহিত করা হয়।