বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। অবিভক্ত বাংলার অংশ হিসেবে ১৯১৩ সালে 'মীর কাশিম' নির্মাণের মাধ্যমে এই অঞ্চলে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়।
স্বাধীনতার পূর্বে, পূর্ব পাকিস্তানে ঢাকা কেন্দ্রিক 'ঢালিউড' নামে একটি স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে ওঠে। 'জাগো হুয়া সাবের', 'সুতরাং', 'নয়নতারা' 'বেহুলা',
'লাল সালু' 'কসাই' , 'মৃত্যুক্ষুধা' , 'জীবন থেকে জীবনে' , 'চাষীর মেয়ে'-এর মতো অসাধারণ সৃষ্টি এই সময়ের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নতুন দিগন্ত স্পর্শ করে। 'সূর্য দীঘল বাড়ি', 'জীবনঢুলী',
'গেরিলা' 'যোদ্ধা' 'মাটির ময়না' 'চন্দ্রগ্রহণ' ,
'হাজার বছর ধরে' , 'নোয়াখালীর মাঝি' , 'আমার বউ' , 'অন্যরকম ভালোবাসা' , 'চোখের বালি' , 'নীল আকাশের চাঁদনী' এর মতো চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
বর্তমানে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও, 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার', 'ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব', 'চ্যানেল আই সেরা সিনেমা পুরস্কার',
'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি'
'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি' 'বাংলাদেশ ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশন' 'বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিষদ'-এর মতো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এর অগ্রগতি ও উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে।
সর্বপ্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন : লুমিয়ার ব্রাদার্স (যুক্তরাষ্ট্র)
উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের জনক : হীরালাল সেন
প্রথম মুসলমান বাঙালী চলচ্চিত্রকার : কাজী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনক : আবদুল জব্বার খান
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার : জহির রায়হান
উপমহাদেশের প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র : ১৯০৩ সালে নির্মিত 'আলী বাবা চল্লিশ চোর' । পরিচালক - হীরালাল সেন
উপমহাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র : ১৯৩১ সালে নির্মিত 'জামাই ষষ্ঠী' । পরিচালক- অমরেন্দ্রনাথ চৌধুরী
বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র : ১৯৫৬ সালে নির্মিত 'মুখ ও মুখোশ' ।
পরিচালক-আবদুল জব্বার খান এবং এর সংগীত
পরিচালক ছিলেন সমর দাস।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র : 'মাটির ময়না' । পরিচালক- তারেক মাসুদ
অষ্কার পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র : 'মাটির ময়না' (২০০২ সালে)
আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : 'আগামী’ । পরিচালক- মোরশেদুল ইসলাম
ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড' হয় : 'শঙ্খনীল কারাগার' । পরিচালক-হুমায়ূন আহমদ
ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র : 'ভেজা বিড়াল' পরিচালক - শহীদুল ইসলাম খোকন
বিশ্বের প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবের নাম : ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব, ১৯৩২ সালে
বাংলাদেশে প্রথম চলচ্চিত্র উৎসব হয় : ১৯৮১ সালে (ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব)
বাংলাদেশে প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব হয় : ১৯৮৮ সালে
বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হল : পিকচার হাউস
কাজী নজরুল ইসলাম কোন ছবিতে অভিনয় করেছিলেন : ধ্রুব
তারেক মাসুদ নির্মিত স্বল্পদের্ঘ্য চলচ্চিত্র : আদম সুরত
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চলচ্চিত্র : বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য মনোনীত করা হয়। ভারতের প্রখ্যাত পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার শ্যাম বনেগালকে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি
রেহেনা মরিয়ম নূর :
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র রেহানা মরিয়ম নূর। এর পরিচালক আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন।
এটি একজন সহকারী অধ্যাপকের জীবন সংগ্রামের গল্প।
২০২১ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'আঁ সাতে রিগা' বিভাগে এই সিনেমাটি মনোনয়ন পেয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি : গাজীপুরে অবস্থিত।
'ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক চলচ্চিত্র
'ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্র
পরিচালক
সাল
জীবন থেকে নেয়া
জহির রায়হান
১৯৭০
বাঙলা ( আহমদ ছফার বিখ্যাত উপন্যাস ‘ওংকার’ অবলম্বনে নির্মিত )
শহীদুল ইসলাম খোকন
২০০৬
ফাগুন হাওয়ায়
তৌকির আহমেদ
২০১৯
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্র
পরিচালক
সাল
ওরা ১১ জন
চাষী নজরুল ইসলাম
১৯৭২
সংগ্রাম
চাষী নজরুল ইসলাম
১৯৭৩
হাঙ্গর নদী গ্রেনেড
চাষী নজরুল ইসলাম
১৯৯৭
ধ্রুবতারা
চাষী নজরুল ইসলাম
২০০৬
বাঘা বাঙালি
আনন্দ
১৯৭২
কার হাসি কে হাসে
আনন্দ
১৯৭৪
আবার তোরা মানুষ হ
খান আতাউর রহমান
১৯৭৩
এখনও অনেক রাত
খান আতাউর রহমান
১৯৯৭
ধীরে বহে মেঘনা
আলমগীর কবির
১৯৭৩
রূপালী সৈকত
আলমগীর কবির
নদীর নাম মধুমতি
তানভীর মোকাম্মেল
১৯৯০
রাবেয়া
তানভীর মোকাম্মেল
২০০৮
আগুনের পরশমণি
হুমায়ূন আহমদ
১৯৯৫
শ্যামল ছায়া
হুমায়ূন আহমদ
২০০৪
রক্তাক্ত বাংলা
মমতাজ আলী
১৯৭২
অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী
সুভাষদত্ত
১৯৭২
জয়বাংলা
ফখরুল আলম
১৯৭২
আলোর মিছিল
মিতা
১৯৭৪
বাংলার ২৪ বছর
মোহাম্মদ আলী
১৯৭৪
মেঘের অনেক রং
হারুনুর রশিদ
১৯৭৬
কলমীলতা
শহীদুল হক খান
১৯৮১
বাঁধনহারা
এ.জে. মিন্টু
১৯৮১
চিৎকার
মতিন রহমান
১৯৮১
মাটির ময়না
তারেক মাসুদ
২০০২
খেলাঘর
মোরশেদুল ইসলাম
২০০৬
জয়যাত্রা
তৌকির আহমেদ
২০০৪
মেহেরজান
রুবাইয়াত হোসেন
২০১০
খন্ডগল্প
বদরুল আলম সৌদ
২০১১
আমার বন্ধু রাশেদ
মোরশেদুল ইসলাম
২০১১
গেরিলা
নাসিরউদ্দীন ইউসুফ
২০১১
পিতা
মাসুদ আখন্দ
২০১২
আত্মদান
শাহজাহান চৌধুরী
২০১২
কারিগর
আনোয়ার সাদাত
২০১২
খন্ডগল্প ৭১
বদরুল অনাম সৌদ
২০১২
জীবনঢুলী
তানভীর মোকাম্মেল
২০১৩
৭১ এর গেরিলা
মিজানুর রহমান শামীম
২০১৩
মেঘমাল্লার
জাহিদুর রহিম অঞ্জন
২০১৪
অনুক্রোম
গোলাম মোস্তফা শিমুল
২০১৪
হৃদয়ে ৭১
সাদেক সিদ্দিকী
২০১৪
৭১ এর মা জননী
শাহ আলম কিরণ
২০১৪
যুদ্ধশিশু
মৃত্যুঞ্জয় দেবব্রত
২০১৪
৭১ এর সংগ্রাম
মনসুর আলী
২০১৫
একাত্তরের ক্ষুদিরাম
এান্নান হীরা
২০১৫
এইতো প্রেম
সোহেল আরমান
২০১৫
শোভনের স্বাধীনতা
মানিক মানবিক
২০১৫
অনিল বাগচীর একদিন
মোরশেদুল ইসলাম
২০১৫
লাল-সবুজের সুর
মুশফিকুর রহমান গুলজার
২০১৬
ভুবন মাঝি
ফকরুল আরেফিন খান
২০১৬
পোস্টমাস্টার ৭১
আরিফ খান
২০১৮
⮚ 'ওরা ১১ জন' ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত (চাষী নজরুল ইসলামের) মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতার ডাক দেন, এ ছবির গল্পে সেই ঐতিহাসিক ভাষণের কিছু অংশ দেখানো হয়েছে।