একুশ শতক হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। বর্তমানে পৃথিবীটা আসলে জ্ঞানভিত্তিক একটা অর্থনীতির উপর দাঁড়াতে শুরু করেছে। একবিংশ শতাব্দিতে এসে দুটি নতুন বিষয়ের সাথে আমাদের পরিচয় হয়েছে- যার একটি হচ্ছে Globalization, অন্যটি হচ্ছে Internationalization। এই দুটি বিষয় ত্বরান্বিত হওয়ার পেছনের কারণটি হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার। তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা এবং বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকীকরণ, পরিবহন, বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology-IT) ।
- যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
- ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- কর্মক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- সরকারি কর্মকান্ডে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
যোগাযোগ ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সবচেয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন হচ্ছে যোগাযোগ। প্রাচীনকালে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল- ঘোড়া, পায়ে হেঁটে বা বিভিন্ন পোশা প্রাণীর মাধ্যমে। কিন্তু বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন যে পুরো পৃথিবীটা এখন হাতের মুঠোয় যাকে বলে গ্লোবাল ভিলেজ।
বিশ্বগ্রাম (Global Village) :
কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিখ্যাত দার্শনিক মার্শাল ম্যাকলুহান (Marshall McLuhan) সর্বপ্রথম গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রাম কথাটি ব্যবহার করেন।
তিনি সর্বপ্রথম ১৯৬২ সালে তাঁর রচিত 'The Gutenberg Galaxy: The Making of Typographic' গ্রন্থে বিশ্বগ্রামের ধারণা দেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে Understanding Media'
গ্রন্থে বিশ্বগ্রাম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তাঁর মতে, "ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সারা বিশ্বকে একটি গ্রামে পরিণত করাই হলো বিশ্বগ্রাম।
যার মাধ্যমে খুব সহজেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সাথে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব।" এখানে ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি বলতে ইন্টারনেটকে বুঝানো হয়েছে।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতিগোষ্ঠীকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসা হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম। বিষয়টিকে আর একটু পরিষ্কার করা যেতে পারে
যেমন- কোনো একটি অঞ্চলের অথবা দেশের অধিবাসীরা যেমন নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান প্রদানে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ থাকে ঠিক তেমনি সারা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে
থাকা জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট কিংবা স্যাটেলাইট টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে একটি একক সম্প্রদায় তথা যৌথ সমাজ হিসেবে আবদ্ধ হতে পারে। আর এটিই হলো গ্লোবাল ভিলেজ বা বৈশ্বিক গ্রাম।
বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠার উপাদানসমূহ :
- হার্ডওয়্যার (Hardware)
- সফটওয়্যার (Software)
- নেটওয়ার্ক সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি (Connectivity)
- উপাত্ত ও তথ্য (Information & Data)
- মানুষের সক্ষমতা (Capacity)
প্রকৃতপক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক ধরনের একীভূত যোগাযোগ ব্যবস্থা । কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে । ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে আমরা সহজেই বিভিন্ন ডিভাইস যেমন- কম্পিউটার ,মোবাইল ফোন ইত্যাদি ব্যবহার করে একে অন্যের সাথে নিমিষেই যোগাযোগ করতে পারছি । যোগাযোগের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেসব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তা হল-
ইন্টারনেট : ইন্টারনেট কথার অর্থ হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কম্পিউটারগুলোর নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। বিশ্বের বিভিন্ন নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করলে যে নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে তাকে ইন্টারনেট বলে। এটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। ARPANET (The Advanced Research Projects Agency Network) ছিল ইন্টারনেটের প্রাথমিক পর্যায়। এ প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধিত হয় আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। চারটি কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ARPANET- এর মাধ্যমে। প্রথম যে চারটি কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয় সে কম্পিউটারগুলো লস এঞ্জেলেস (University of California, Los Angeles - UCLA), মেনলোপার্ক, সান্তা বারবার (U.C. Santa Barbara) এবং ইউটাহ বিশ্ববিদ্যালয় (The University of Utah)- তে অবস্থিত ছিল। ১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগের জন্য TCP/IP উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের প্রাথমিক যাত্রা শুরু। আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভিনটন গ্রে সার্ফকে (Vinton Gray Cerf) 'ইন্টারনেটের জনক' বলা হয়। ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার ১৯৯০ সাল থেকে। ১৯৯২ সালে ইন্টারনেট সোসাইটি (ISOC) প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারে শীর্ষ দেশ চীন। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে।
ই-মেইল (E-mail) : E-mail হলো ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic Mail) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ই-মেইল হচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের একটি বিশেষ পদ্ধতি। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক উপায়ে বা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ডিজিটাল মেসেজ বা বার্তা আদান-প্রদান করাকে ই-মেইল বলা হয়। প্রতিটি ই-মেইল ব্যবহারকারীর একটি ই-মেইল ঠিকানা (Address) থাকে। ই-মেইল ঠিকানা User name@Domain নিয়ে গঠিত হয়। যেমন- jarif@gmail.com. এখানে jarif হলো user name আর gmail.com হলো domain name। ১৯৭১ সালে রে টমলিনসন (Ray Tomlinson) কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ই-মেইল প্রেরণের জন্য প্রথম সফট্ওয়্যার তৈরি করেন। ই-মেইল প্রেরণের জন্য তিনি @ চিহ্ন ব্যবহার করেন যা এখন পর্যন্ত ই-মেইল অ্যাড্রেসে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাকে ই-মেইলের জনক বলা হয়।
Webmail: ফ্রি ই-মেইল অ্যাড্রেস তৈরি করার জন্য gmail.com, yahoo.com, hotmail. com, Outlook.com প্রভৃতি ডোমেইন ব্যবহার করা যায়। Gmail বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবমেইল সেবা। Gmail এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন পল বছিট (Paul Buchheit)। ২০০৪ সালে গুগল এই সেবা চালু করে। ১৯৯৬ সালে সাবীর ভাটিয়া এবং জ্যাক স্মিথ যৌথভাবে Hotmail সেবা চালু করেন। ১৯৯৭ সালে মাইক্রোসফট হটমেইল অধিগ্রহণ করে এবং নামকরণ করে MSN Hotmail। ২০১৩ সালে Hotmail কে Outlook দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়।
Email Clients: ই-মেইল সুবিধা-প্রাপ্তির জন্য অথবা ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়, তাদের Email Clients বলে। যেমন- Microsoft Outlook Express, Netscape, Eudoro, Mozilla Thunderbird, Google Chrome ইত্যাদি।
ই-মেইল কম্পোজ উইন্ডোর বিভিন্ন অংশ: মেইল কম্পোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে, যেখানে নিম্নলিখিত অংশগুলো থাকবে। To, From, Cc, Bcc, Subject, Attatch.
To: এখানে যার কাছে ই-মেইল পাঠানো হবে তার ই-মেইল ঠিকানা লিখতে হয়। তবে একই মেইল একাধিক ঠিকানায় পাঠাতে হলে প্রতিটি ঠিকানা কমা (,) দিয়ে আলাদা করে লিখতে হবে।
Cc: Carbon copy । একই মেসেজ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে পাঠাতে চাইলে এখানে তাদের ঠিকানা কমা দিয়ে আলাদা আলাদা করে টাইপ করতে হবে। তাহলে গ্রাহক তার মেইলটি গ্রহণ করার পর এখানে প্রদর্শিত ঠিকানাসমূহ দেখে জানতে পারবে একই মেইল আর কার কার কাছে পাঠানো হয়েছে।
Bcc: Blind carbon copy। একই মেসেজ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে পাঠাতে চাইলে এখানে তাদের ঠিকানা কমা দিয়ে আলাদা আলাদা করে টাইপ করতে হবে। Cc এর মতো প্রাপকের নিকট এখানে ঠিকানাসমূহ প্রদর্শিত হবে না ফলে প্রাপক জানতে পারবে না একই মেইল আর কার কার কাছে পাঠানো হয়েছে।
অ্যাটাচমেন্ট (Attachment): সাধারণভাবে ই-মেইল করে নরমাল টেক্সট পাঠানো যায়। কিন্তু ই-মেইলের এটাচ কমান্ড ব্যবহার করে অন্য কোনো প্রোগ্রামে করা ফাইলকে ই-মেইলের সাথে অ্যাটাচ করে পাঠানো যায়।
ই-মেইল সার্ভার (E-mail server): মেইল সার্ভার হল নেটওয়ার্কের একটি কম্পিউটার যা ভার্চুয়াল পোস্ট অফিস হিসেবে কাজ করে। মেইল পাঠানোর জন্য SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) প্রোটোকল এবং মেইল গ্রহণের জন্য POP3 (Post Office Protocol 3), IMAP (Internet Mail Access Protocol) প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়।
ভিওআইপি (VoIP) : ইন্টারনেট টেকনোলজি এবং মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ভয়েস, ডেটা এবং ভিডিও আদান-প্রদান করার পদ্ধতিকে VoIP (Voice over Internet Protocol) টেকনোলজি বলে। সংক্ষেপে VoIP হচ্ছে ডেটা নেটওয়ার্ক যেমন ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিফোন কল আদান-প্রদান করার বিশেষ পদ্ধতি। উদাহরণ: নেট টু ফোন (Net 2 Phone), কুল টক (CoolTalk), নেটমিটিং (NetMeeting) ইত্যাদি। VoIP তে ব্যবহৃত প্রোটোকলগুলোর মধ্যে H.323. SIP (Session Initiation Protocol) উল্লেখযোগ্য।
স্কাইপি (Skype): ২০০৩ সালে ডেনমার্কের ধমিজা, জানুজ ফ্রিজ ও সুইডেনের নিকোলাস জেনস্ট্রম সম্মিলিতভাবে স্কাইপি প্রতিষ্ঠা করেন।
হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp): হোয়াটসঅ্যাপ ২০০৯ সালে জ্যান কউম (Jan Koum) ও ব্রায়ান এক্টন (Brain Acton) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণ করে।
টেলিকনফারেন্সিং (Teleconferencing) ও ভিডিও কনফারেন্সিং (Video Conferencing) : ভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে কিছু ব্যক্তি অবস্থান করে টেলিযোগাযোগ সিস্টেমের মাধ্যমে সংযুক্ত থেকে কোনো সভা অথবা সেমিনার অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বলা হয় টেলিকনফারেন্সিং। টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক ভৌগোলিক অবস্থানে অডিও এবং ভিডিও এর যুগপৎ উভমুখী স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলে। টেলিকনফারেন্সিং এর মতোই ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থায় অংশগ্রহণকারীরা কথোপকথন করতে পারে। অধিকন্তু ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থায় মনিটর বা পর্দায় অংশগ্রহণকারীরা পরস্পরের সম্মুখীন হয়ে একে অন্যকে দেখে কথোপকথনে অংশগ্রহণ করে।
ব্যবসা-বাণিজ্যে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স (Electronic Commerce) : ই-কমার্স একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। বর্তমান যুগের ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য, সেবা ও তথ্য ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর বা বিনিময় কার্যকেই ই-কমার্স বলে। ১৯৬০ সালে ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (EDI) এর মাধ্যমে ই-কমার্সের যাত্রা শুরু হয়। সেবা ও পণ্য লেনদেনের ভিত্তিতে ই-কমার্সকে সাধারণত চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা যায়। যথা-
- ব্যবসা থেকে ভোক্তা (Business to Consumer - B2C) : ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুচরা বা পাইকারি লেনদেনসমূহ বিজনেস টু কনজিউমার (B2C). এর অন্তর্গত। উদাহরণ: Amazon, Food Panda, Shopr.bd, ShoptoBd ।
- ব্যবসা থেকে ব্যবসা (Business to Business - B2B): ব্যবসা থেকে ব্যবসা সংক্রা ই-কমার্স একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘটিত হতে পারে। গতানুগতিক পদ্ধতিরে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাইকারি কেনাবেচাকে বিজনেস টু বিজনেস (B2B) বলা হয় । এ ধরনের ই-কমার্স সিস্টেমে পক্ষগুলোর মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সরবরাহকারী কিংবা পণ্য উৎপাদনকারী হতে পারে। উদাহরণ- Alibaba, Bangladesh Business Guide Address Bazar, Bizbangladesh.
- ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer - C2C): অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ছাড়াই ভোক্তা থেকে ভোক্তার লেনদেনকে ভোক্তা থেকে ভোক্তা বা কনজিউমার টু কনজিউমার (C2C) বলা হয়। এ জাতীয় ব্যবসায়ে কোনো বিজনেস মিডলম্যান থাকে না। উদাহরণ: ebay, Bikroy, Ekhanei, clickbd
- ভোক্তা থেকে ব্যবসা (Consumer to Business-C2B): যখন কোনো ভোক্তা এককভাবে অন্য কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি লেনদেন করে তখন তাকে ভোক্তা থেকে ব্যবসা বা কনজিউমার টু বিজনেস বলা হয়। উদাহরণ: monster.
ই-কমার্স সাইট
অ্যামাজন ডট কম (Amazon.com) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ইন্টারনেট ভিত্তিক খুচরা বিক্রেতা। ১৯৯৪ সালে জেফ বেজস কর্তৃক অ্যামাজন প্রতিষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
ওএলএক্স ডট কম (Olx.com): OLX (On Line Exchange) অনলাইনে কেনা বেচার একটি জনপ্রিয় সাইট যা Fabrice Grinda কর্তৃক ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ওয়েব সাইটিতে বিনামূল্যে যে কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যায়।
আলিবাবা ডট কম (Alibaba.com) একটি বহুজাতিক ই-কমার্স কোম্পানি। ১৯৯৯ সালে জ্যাক মা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় ই-কর্মাস সাইটসমূহ হলো-
- নতুন-পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় : www.bikroy.com/www.ekhanei.com
- অনলাইনে বই ক্রয়ের জন্য : www.boimela.com/www.rokomary.com
- পণ্যের মূল্য ছাড় পাওয়ার জন্য : www.ajkerdeal.com
- অনলাইন সুপার মার্কেট : www.chorka.com
বিক্রয় ডট কম (Bikroy.com) বাংলাদেশে অনলাইনে নতুন-পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। ২০১২ সালে এটি যাত্রা শুরু করে। এখানেই ডট কম (Ekhanei.com) বাংলাদেশের নতুন-পুরাতন পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট। পূর্বে এই সাইটটির নাম ছিল 'সেল বাজার' যা ২০০৬ সালে গ্রামীণফোনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবেekhanei যাত্রা শুরু করে।
এম কমার্স : মোবাইলের মাধ্যমে গ্রাহকের হাতে ই-কমার্সের সুবিধা পৌঁছানোর ধারণাকে মোবাইল কমার্স (এম কমার্স) বলে। মোবাইলের মাধ্যমে মানি ট্রান্সফার, এটিএম বুথ থেকে টাকা উঠানো, টিকেট কাটা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়।
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (EFT): ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার হলো কম্পিউটারভিত্তিক সিস্টেমের মাধ্যমে এক বা একাধিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক একাউন্ট এর মধ্যে অর্থ স্থানান্তর বা বিনিময় প্রক্রিয়া। ই-কমার্সের ভিত্তিই হলো ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম। যেমন-Paypal, Skrill, Paytm, Wise ইত্যাদি।
Automated Teller Machine (ATM) একটি আধুনিক তহবিল স্থানান্তর যন্ত্র। এর মাধ্যমে দিনের যেকোন সময় অর্থ জমা, উত্তোলন ও স্থানান্তর করা যায়। ব্যাংক তার গ্রাহককে একটি করে প্লাস্টিক কার্ড সরবরাহ করে। কার্ডের মাধ্যমে গোপন নম্বর ব্যবহার করে যেকোন দিন যেকোন সময় ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলন, জমা বা স্থানান্তর করা যায়। তবে বাংলাদেশে সকল ATM বুথে টাকা উত্তোলনের সুবিধা থাকলেও শুধুমাত্র কতিপয় বুথে টাকা জমা দেওয়ার সুবিধা আছে।
- ডেবিট কার্ড এমন এক ধরনের কার্ড যার দ্বারা ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক তার ব্যাংকে সঞ্চিত আমানতের অর্থ যেকোন সময় ATM বুথ হতে উঠাতে পারেন। যেমন- বাংলাদেশের প্রচলিত ATM কার্ডগুলো মূলত ডেবিট কার্ড।
- ক্রেডিট কার্ড এমন এক ধরনের কার্ড যার দ্বারা ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ধারে পণ্য কেনাবেচা থেকে শুরু করে যেকোন ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। সাধারণত ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাংক গ্রাহককে এ ধরনের কার্ড সরবরাহ করে। এই ঋণ গ্রহণের জন্য ব্যাংককে বাৎসরিক একটি নিদিষ্ট হারে চার্জ প্রদান করতে হয়। বিশ্বে বর্তমানে VISA, MASTER Card, American Express প্রভৃতি ক্রেডিট কার্ড প্রচলিত আছে।
- Point of Sale (POS) মেশিন হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে নগদ টাকার পরিবর্তে ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পণ্য কেনাকাটা করা যায়, সেবার মাশুল দেওয়া যায়।
অনলাইন ব্যাংকিং (Online Banking)
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমকেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং বলে। e-banking বা Virtual banking ও বলা হয়। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে ব্যাংকের নির্দিষ্ট সুরক্ষিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করতে পারে। একাউন্টে প্রবেশের জন্য ব্যাংক গ্রাহককে প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন: আইডি, পাসওয়ার্ড সরবরাহ করতে ATM, অটোমেটেড ফান্ড ট্রান্সফার, ইলেকট্রনিক চেক, ইলেকট্রনিক মানি, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, SMS ব্যাংকিং ইত্যাদি এই সবই অনলাইন ব্যাংকিং এর উদাহরণ।
অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা
- দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন যে কোনো স্থান থেকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে একাউন্টে প্রবেশের সুবিধা, হিসাবের ব্যালেন্স অনুসন্ধান, এক হিসাব হতে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা যায়। যেমন: ATM বুথে সচরাচর আমরা ২৪/৭ লিখা দেখি। কথাটির অর্থ হল দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাবে।
- ইন্টারনেট ব্যাংকিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে বলে এটি খুব দ্রুত এবং সুবিধাজনক।
মোবাইল ব্যাংকিং (Mobile Banking)
যে পদ্ধতিতে একজন গ্রাহক মোবাইল বা ট্যাব ব্যবহার করে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারেন তাকে মোবাইল ব্যাংকিং বলে। খুব সহজে এবং দ্রুত টাকা এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পাঠানোর এই মাধ্যম এখন অনেকেই পছন্দ করছেন। ২০১১ সালে ডাচ-বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান 'বিকাশ'। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ চালু করেছে 'নগদ'।
টেলি ব্যাংকিং (Tele Banking)
টেলি ব্যাংকিং কথাটির অর্থ হল টেলিফোন ব্যাংকিং। অর্থাৎ টেলিফোনের মাধ্যমে যে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় তাকে টেলিফোন ব্যাংকিং বা টেলি ব্যাংকিং বলা হয়। এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার ব্যাংক সীমিত পরিসরে একাউন্ট ব্যালেন্স ট্রানজেকশন, ইলেকট্রনিক বিল পেমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফার ইত্যাদি কাজ করার সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেবা চালু থাকলেও বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক প্রথম এই সেবা চালু করে।
আর্থিক প্রযুক্তি (Financial Technology-Fin Tech) হল এমন এক পদ্ধতি যা প্রথাগত আর্থিক সেবা পদ্ধতির সাথে প্রতিযোগিতা করে আর্থিক পরিষেবা স্বয়ংক্রিয় ও উন্নত করে। ফিনটেকের অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি।
কর্মক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
আউটসোর্সিং (Outsourcing): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বব্যাপি কর্মসংস্থানের বাজার হয়েছে উন্মুক্ত। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই যে কোনো দেশের লোকজন বিশ্বের যে কোনে দেশের কাজকর্ম করতে পারছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপি এ ধরনের কাজ করে অর্থ অর্জন করার প্রক্রিয়াই হল আউটসোর্সিং। ওয়েবসাইট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, মাসিক বেতন-ভাতার বিল প্রস্তুতকরণ, ওয়েবসাইটে তথ্য যোগ করা, সফ্টওয়্যার তৈরি, বিভিন্ন কাজের জন্য ডিজাইন তৈরি, লোগো ডিজাইন, আর্টিকেল লেখা, অনুবাদ, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে করা যায়। এ সকল কাজ ইন্টারনেটে অনেক সাইটে পাওয়া যায়। এর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো আপওয়ার্ক (www.upwork.com), ফ্রিল্যান্সার (www.freelancer.com), ফাইভার (www.fiverr.com), গুরু (www.guru.com) ইত্যাদি। যারা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে বলা হয় ফ্রি-ল্যান্সার।
সরকারি কর্মকান্ডে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
ই-গর্ভনেন্স : ই-গভর্নেন্স (E-governence) এর পূর্ণরূপ হলো- ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স (Electronic Governence) সরকারি কার্যক্রমে ও প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গভর্ন্যান্স। এটা এমন একটি পদ্ধতি বা ব্যবস্থা যা সরকারের কর্মকান্ড ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাইজড আকারে রূপান্তরিত করে এবং জনগণের সাথে সরকারের সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করে।
অতীতে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ করে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের একটি বিড়ম্বনা ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট এমনকি মোবাইল ফোনে SMS এর মাধ্যমে ফলাফল জানা যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্সের আর একটি উদাহরণ হলো কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন। শিক্ষার্থী যে কোনো স্থান হতে তার পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে এবং অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে এবং ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে ।
নাগরিক যন্ত্রণার আর একটি উদাহরণ হলো পরিসেবাসমূহের বিল পরিশোধ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদির বিল পরিশোধের গতানুগতিক পদ্ধতি খুবই সময়সাপেক্ষ এবং যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল ফোন কিংবা অনলাইনে এই বিল পরিশোধ করা যায়। ই-গভর্ন্যান্সের মূল বিষয় হলো নাগরিক জীবনমান উন্নত করা এবং হয়রানি মুক্ত রাখা। ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে কোনো কোনো কার্যক্রমের সময় ২৪×৭×৩৬৫ দিনে পরিণত করা যায়। ফলে, নাগরিকরা নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারে।
ই-সার্ভিস : ই-সার্ভিস এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক সার্ভিস। বর্তমানে ই-সার্ভিস বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে অথবা স্বল্প সময়ে দেশের জনগণকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে। ই-সেবার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্বল্প সময়ে হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করে। কুইক- উইন, ই-পর্চা, ইএমটিএস, ই-পুর্জি, ই-স্বাস্থ্যসেবা, ই-টিকেটিং এই সেবার অর্ন্তভুক্ত।
ই-পর্চা সেবা: সাধারণত জমি বা ভূমি সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের তথ্য জমির রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হয়। যা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার এবং তুলনামূলক ব্যয়বহুল। এই গতানুগতিক পদ্ধতি আর ভোগান্তি কমানোর জন্য বর্তমানে চালু হয়েছে ই-পর্চা সেবা। ফলে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইন হতে সংগ্রহ করা যায়। অর্থাৎ অনলাইন হতে জমি সংক্রান্ত তথ্য, জমির রেকর্ডের অনুলিপি সংগ্রহ করার সিস্টেমই হলো ই-পর্চা।
ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএমটিএস) : বাংলাদেশের ডাক বিভাগে চালু হয়েছে ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএমটিএস)। এই সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিরাপদে দ্রুত ও কম খরচে অর্থ আদান-প্রদান করা যায়। বর্তমানে দেশের প্রায় সকল পোস্ট অফিস ও সাবপোস্ট অফিস থেকে এই ই-সেবার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১ (এক) মিনিটের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো সম্ভব।
ই-পুর্জি: দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত চিনিকলসমূহের তথ্য এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ চিনিকলসমূহের তথ্য ইলেকট্রনিক উপায়ে আখচাষি বা অন্যদের কাছে সরবরাহের পদ্ধতিই হলো ই-পুর্জি।
e-GP (Electronic Government Procurement): ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিভিন্ন সরকারী ক্রয়কারী সংস্থা এবং ক্রয়কারী - সমূহের ক্রয়কার্য সম্পাদনের জন্য একটি অনলাইন প্লাটফর্ম বা পোর্টাল। যেমন- http://eprocure.gov.bd।
জাতীয় ই-তথ্যকোষ : বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম জীবন ও জীবিকাভিত্তিক তথ্যভাণ্ডার। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় ই-তথ্যকোষ ওয়েবসাইটের ভিডিও কন্টেন্টসমূহকে নিয়ে অ্যাপস এবং নারী উন্নয়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক যে সকল তথ্য রয়েছে সেগুলো নিয়ে তথ্যকোষে 'জাগরণ' নামে একটি সাব-সাইট রয়েছে। ২৩ জুন, ২০১৪ 'জাতীয় তথ্য বাতায়ন' ওয়েব পোর্টাল উদ্বোধন করা হয়।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়াকে টেলিমেডিসিন বলে। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট সংযোগের সাহায্যে এক হাসপাতালের রোগীরা অন্য হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যে রোগীরা দূরে অবস্থানরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট হতে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য এবং সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডাক্তারদের নিকট হতে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে। অনেক বেসরকারি হাসপাতালের রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়েও টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে বিদেশি ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর সকল তথ্য EHR (Electronic Health Record) ডেটাবেজে সংরক্ষণ করা হয়। এ কাজে MediTouch, Jareoc, TheraNest ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
ডিজিটাল কনটেন্ট : ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যে কোনো তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা সবই ডিজিটাল কনটেন্ট। ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
- লিখিত (Text): ডিজিটাল মাধ্যমে এখনো লিখিত তথ্যের পরিমাণই বেশি। এর মধ্যে রয়েছে নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা, ই-বুক সংবাদপত্র, শ্বেতপত্র ইত্যাদি।
- ছবি: ক্যামেরায় তোলা, হাতে আঁকা, কম্পিউটারের গ্রাফিক্সের কাজসহ সব ধরনের ছবি এই ধারার কনটেন্ট।
- শব্দ (Audio): যে কোনো বিষয়ের অডিও ফাইল, ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট এবং ওয়েবিনার এই কনটেন্টের আওতাভুক্ত।
- ভিডিও ও এনিমেশন: ইউটিউব বা এই ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাছাড়া ইন্টারনেটে কোনো ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এটিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। যেমন- নেটফ্লিক্স। এই কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত ।
নেটফ্লিক্স (Netflix) একটি নিবন্ধনভিত্তিক স্ট্রিমিং সার্ভিস। ১৯৯৭ সালে হ্যাস্টিংস এবং রেন্ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোনিয়ায় নেটফ্লিক্স প্রতিষ্ঠা করেন ।
ই-লার্নিং (E-learning) : E-learning শব্দটি Electronic Learning কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। মূলত প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি ক্লাস করা কিংবা কোনো বিষয়ের উপর জ্ঞানার্জন করার পদ্ধতিই ই-লার্নিং নামে পরিচিত। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ই-লানিং ওয়েবসাইটগুলো হলো। www.ebook.gov.bd, www.teachers.gov.bd, shikkhok.com, ictshikkha.org, 10minuteschool.com.
এম লার্নিং (Mobile Learning) : এম লার্নিং হলো ই-লানিং এর একটি পদ্ধতি। ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মাট ফোন, নোট বুক, ই-বুক রিডার ইত্যাদি প্রযুক্তি ডিভাইস ব্যবহার করে যে কোনো স্থানে বসে এম লার্নিং করা যায়।
ই-বুক : ই-বুক হলো প্রিন্টকৃত বইয়ের ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল ভার্সন। ই-বুক এর জনক হলেন আমেরিকান লেখক মাইকেল এস হার্ট। ই-বুক রিডার সফটওয়্যারগুলো হলো অ্যামাজন কিন্ডল, কুল রিডার, এফবি রিডার, ব্লুফায়ার রিডার ইত্যাদি। একুশ ই-বুক বাংলাদেশের প্রথম ই-বুক।
উইকিপিডিয়া (Wikipedia) : উইকিপিডিয়া একটি সম্মিলিতভাবে সম্পাদিত, বহুভাষীক, মুক্ত প্রবেশাধিকার ও কন্টেন্ট সংযুক্ত ইন্টারনেট বিশ্বকোষ। ১৫ জানুয়ারি, ২০০১ জিমি ওয়েলস এবং ল্যারি স্যাঙ্গার যৌথভাবে উইকিপিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন।
অনলাইন মিটিং অ্যাপস ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা : ২০২০ সালে সারা পৃথিবীতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় থেকে বেশিরভাগ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষাক্রম বন্ধ না রেখে অনলাইন শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাদান করছেন। শিক্ষকেরা ঘরে থেকেই অনলাইনের বিভিন্ন অ্যাপস যেমন- জুম (Zoom), গুগল মিট (Google Meet), গোটুমিটিং (GoToMeeting), জয়েন ডট মি (join.me), ওয়েবেক্স (WebEx), ওয়েবিনার (webinar) ইত্যাদি ব্যবহার করে লাইভ-ক্লাসে সরাসরি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছেন। জনপ্রিয় অ্যাপ 'জুম' এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইরিক ইউয়ান।
বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম : সামাজিক যোগাযোগ বলতে ভার্চুয়াল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়াকে বুঝায়। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ সাইট একটি অনলাইন প্লাটফর্ম, যেখানে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর একটি নিজস্ব প্রোফাইল থাকে এবং ব্যবহারকারীরা একজন অন্যজনের সাথে খুব সহজেই লেখালেখি, ছবি প্রদর্শন, কথা বলা বা ভিডিও আদান-প্রদানের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
সাইটের নাম | উদ্ভাবক | প্রতিষ্ঠাকাল |
---|---|---|
মার্ক জাকারবার্গ | ২০০৪ | |
জ্যাক ডর্সি | ২১ মার্চ, ২০০৬ | |
Google Plus+ | গুগল | ২৮ জুন ২০১১ |
রেইড হফম্যান | ২০০২ | |
Paul Sciarra, Evan Sharp & Ben Silbermann | ২০১০ | |
Tumblr | ডেভিড কার্প | ২০০৭ |
কেভিন সিস্ট্রোম ও মাইক ক্রিয়েজার | অক্টোবর, ২০১০ | |
Flickr | লুডিকর্প | ২০০৪ |
Meetup | Meetup Inc | ১২ জুন, ২০১২ |
Sina Weibo | Sina Corporation | ২০০৯ |
ফেসবুক (Facebook) : ফেসবুক সর্বাধিক জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট। ২০০৪ সালে ফেসবুক ইনকর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় মার্ক জুকারবার্গ এবং তাঁর সহপাঠী এডওয়ার্ড সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স ও ক্রিস হিউজেস মিলে ফেসবুক নির্মাণ করেন। ফেসবুক ইনকর্পোরেশন ২০১২ সালে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার অ্যাপ ইন্সটাগ্রাম এবং ২০১৪ সালে ভয়েস, বার্তা ও ছবি আদান-প্রদানের অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেয়। ২৮ অক্টোবর, ২০২১ সালে ফেসবুক ইনকর্পোরেশনের নাম পরিবর্তন করে মেটা প্লাটফর্ম ইনকর্পোরেশন বা সংক্ষেপে মেটা করা হয়। মেটা একটি গ্রিক শব্দ। মেটা'র অধীনে ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপসগুলোর নাম অপরিবর্তিত থাকে। মেটা'র বর্তমান সিইও (CEO) মার্ক জাকারবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যানলো পার্কে মেটা'র সদর দপ্তর অবস্থিত। পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ২৮৯ কোটি সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে। ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে কোন মতামতের প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ভাব নির্দেশক চিহ্ন 'ইমোজি' (জাপানী শব্দ) ব্যবহৃত হয়।
টুইটার (Twitter) : টুইটার অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা। ফেসবুকের সাথে এর মৌলিক পার্থক্য হলো এটিতে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ২৮০ অক্ষরের মধ্যে তাদের মনোভাব প্রকাশ ও আদান-প্রদান করতে হয়। এজন্য এটিকে মাইক্রোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইটও বলা হয়। ২৮০ অক্ষরের এই ক্ষুদ্র বার্তাকে বলা হয় টুইট (Tweet)। টুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস হিসেবে অভিহিত করা হয়। সাধারণত টুইটারের সদস্যদের টুইট বার্তাগুলো তাদের প্রোফাইল পাতায় দেখা যায়। টুইটারের সদস্যের অন্য সদস্যেদের টুইট পড়ার জন্য সেই সদস্যকে অনুসরণ (follow) করতে হয়। কোন সদস্যকে যারা অনুসরণ করে তাদেরকে অনুসারী (follower) বলা হয়। টুইটারের মূল কার্যালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো শহরে। টুইটারের বর্তমান CEO পরাগ আগারওয়াল।
ইন্সটাগ্রাম (Instagram) : ইন্সটাগ্রাম হচ্ছে স্মার্টফোন এবং অ্যানড্রয়েড ফোনের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া আলোকচিত্র এবং ভিডিওর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্সট্রাগ্রাম এর ছবি বর্গাকার এবং ভিডিওর দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১৫ সেকেন্ডের হয়। ইন্সটাগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা কেভিন সিসট্রোম এবং মাইক ক্রিগার।
লিঙ্কডইন (LinkedIn) : লিঙ্কডইন বিজনেস অরিয়েন্টেড বা পেশাজীবীদের সামাজিক যোগাযোগের একটি ওয়েবসাইট। সামাজিক যোগাযোগের এই সাইটটি পেশাজীবীরা বেশি ব্যবহার করে থাকে। এক পরিংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৬ সালে এর সদস্যসংখ্যা ২০ মিলিয়নেরও অধিক হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্ট ভিউতে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
সিনা ওয়েইবো (Sina Weibo) চীনের বৃহত্তম সামাজিক মিডিয়ার প্লাটফর্ম।
বেশতো : বেশতো বাংলাদেশের প্রথম সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট। এর ধরন হলো মাইক্রোব্লগিং। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি 'বেশতো' যাত্রা শুরু করে। 'বেশতো প্রশ্ন' নামক একটি জনপ্রিয় সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর খুজতে বা নতুন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারে।
ইউটিউব (YouTube) : ইউটিউব একটি ভিডিও আদান-প্রদান করার ওয়েবসাইট। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সাইট। এর মাধ্যমে ভিডিও আপলোড, শেয়ার এবং ভিডিও দেখার সুবিধা রয়েছে। তাছাড়া ভিডিও পর্যালোচনা, অভিমত প্রদান সহ আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। ২০০৫ সালে পেপ্যাল প্রতিষ্ঠানের তিনজন সাবেক কর্মচারী চাড হারলি, স্টিভ চ্যন এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত জাবেদ করিম কর্তৃক ইউটিউব প্রতিষ্ঠিত হয়।
যোগাযোগ (Jogajog): যোগাযোগ বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগ ফেসবুকের বিকল্প সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম 'যোগাযোগ' প্রস্তুতকরণের ঘোষণা দিয়েছে। আইসিটি বিভাগ হোয়াটস অ্যাপের বিকল্প হিসেবে 'আলাপন' (Alapon) নামে একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে। আলাপন বাংলাদেশের নিজস্ব একটি ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং ও ভিওআইপি অ্যাপ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
- বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকায়। এটি ছিল IBM কোম্পানির ১৬২০ সিরিজের দ্বিতীয় প্রজন্মের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার। ঢাকা পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে সুদীর্ঘ কয়েক বছর চালু ছিল। বর্তমানে এই কম্পিউটারটি ঢাকার আগারগাঁও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তদানীন্তন হাবিব ব্যাংক IBM 1401 এবং ইউনাইটেড ব্যাংক IBM 1901 মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে।
- 'কম্পিউটার জগৎ' দেশের কম্পিউটার বিষয়ক প্রথম পত্রিকা মাসিক। ১৯৯১ সালে এটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (Bangladesh Association of Software and Information Services) সংক্ষেপে বেসিস (BASIS) বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি সংস্থা যা সফটওয়্যার ও তথ্য প্রযুক্তির বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে সেই সুখী, সমৃদ্ধ, দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বৈষম্যহীন জনগণের রাষ্ট্র; যার মুখ্য চালিকাশক্তি হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি। বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। ২০১২ সালে যশোরকে 'প্রথম ডিজিটাল জেলা' হিসাবে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় একসেস টু ইনফরমেশন (এ টু আই) প্রকল্প।