কৃষ্ণ গহবর (Black hole):
- কৃষ্ণ গহবর অর্থ কালো গহবর।
- কৃষ্ণ গহবর তৈরী হয় খুবই বেশি পরিমাণ ঘনত্ব বিশিষ্ট ভর থেকে। এর মহাকর্ষ শক্তি খুব বেশি। ফলে কৃষ্ণ গহবর হতে কোন কিছু যেমন তাড়িৎচৌম্বক বিকিরণ (আলো) বের হতে পারে না।
- কৃষ্ণ গহবর আবিষ্কার করেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন হুইলার ১৯৬৯ সালে।
- একটি নক্ষত্রের ভর সূর্যের ভরের ৩গুণ বেশি হলে সেগুলো পরিণত হয়- কৃষ্ণ গহবরে।
- কৃষ্ণ গহবরের আয়তন - সসীম।
- কৃষ্ণ গহবর নামে আখ্যায়িত অঞ্চলের সীমাকে বলে- ঘটনা দিগন্ত (Event horizon)।
- দুটি ব্ল্যাক হোল মিলিত হলে যে অশান্ত ব্ল্যাক হোল তৈরী হয়, সেখান থেকে আসে বৃত্তায়িত মহাকর্ষ তরঙ্গ। ১৯১৫ সালে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতা তত্ত্বে এই মহাকর্ষ তরঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন।
- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাইগো () সনাক্তকরণ যন্ত্রে একটা সংকেত আসে। এটি ছিল ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরের দুটি ব্ল্যাক হোলের মিলনের ফলে সৃষ্ট মহাকর্ষ তরঙ্গেরই সংকেত। এই মহাকর্ষ তরঙ্গ সনাক্তকারী গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন - বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রবাসী সেলিম শাহরিয়ার এবং দীপঙ্কর তালুকদার।
- আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রকাশ করার পর ১৯১৬ সালে বিজ্ঞানী কার্ল সোয়ার্জসচাইল্ড প্রমাণ করেন যে, কৃষ্ণগহবর হলো আইনস্টাইন সমীকরণের একটি সমাধান।