এস. ওয়াজেদ আলি (১৮৯০-১৯৫১)
সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) এস. ওয়াজেদ আলি ছিলেন একজন উদার ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব। তিনি ‘সবুজপত্র' পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যে তিনি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গঠনের জন্য হিন্দু- মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান সম্বলিত সাহিত্য রচনায় প্রবৃত্ত হন। তিনি পরপর দুবার ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত সমিতি'র সভাপতি ছিলেন।
এস. ওয়াজেদ আলির সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | এস. ওয়াজেদ আলি ৪ সেপ্টেম্বর, ১৮৯০ সালে হুগলীর শ্রীরামপুরের বড়তাজপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। |
সম্পাদনা | তাঁর প্রকাশিত ও সম্পাদিত মাসিকের নাম ‘গুলিস্তা’ (১৯২৫)। |
প্রথম গল্পগ্রন্থ | তাঁর প্রকাশিত প্রথম গল্পগ্রন্থের নাম ‘গুলদাস্তা’ (১৯২৭)। |
সাহিত্যকর্ম | তাঁর প্রকাশিত সাহিত্যকর্মসমূহ: গল্প: ‘মাশুকের দরবার' (১৯৩০), ‘দরবেশের দোয়া’ (১৯৩১), ‘বাদশাহী গল্প’ (১৯৪৪), ‘গল্পের মজলিস' (১৯৪৪), ‘ভাঙ্গাবাঁশী'। ঐতিহাসিক উপন্যাস: ‘গ্রানাডার শেষ বীর' (১৯৪০)। প্ৰবন্ধ: ‘অতীতের বোঝা’ (১৯১৯): এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধ যা প্রমথ চৌধুরীর ‘সবুজপত্র' পত্রিকায় ১৯১৯ সালে প্রকাশিত হয়। ‘ভবিষ্যতের বাঙালি' (১৯৪৩): এটি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গঠনের জন্য হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান সম্পর্কিত। এ গ্রন্থে তিনি বাংলাভাষীদের রাষ্ট্রগঠন সম্পর্কে ইঙ্গিত প্রদান করেন। ‘জীবনের শিল্প' (১৯৪১), ‘প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩), ‘আকবারের রাষ্ট্রসাধনা' (১৯৪৯), ‘মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ’, ‘ইকবালের পয়গাম' । ভ্রমণকাহিনি: ‘পশ্চিম ভারত' (১৯৪৮), ‘মোটরযোগে রাঁচি সফর' (১৯৪৯)। |
মৃত্যু | তিনি ১০ জুন, ১৯৫১ সালে কলকাতায় মারা যান । |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন