নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু গুণ (১৯৪৫-)

বাংলাদেশের কবিদের কবি নির্মলেন্দু গুণ। নারীপ্রেম, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, শ্রেণি-সংগ্রাম, স্বৈরাচার বিরোধিতা ইত্যাদি বিষয় তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু। সমাজকে তিনি তুলে এনেছেন সাহিত্যের আয়নায়।

নির্মলেন্দু গুণের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম নির্মলেন্দু গুণ ২১ জুন, ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার কাশবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাক নাম- রতন / রত্ন / রতু।
পুরস্কার তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২), একুশে পদক (২০০১) পান।
স্কুল প্রতিষ্ঠা নিজ গ্রাম কাশবনে ‘বিদ্যানিকেতন' নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রথম কবিতা মেট্রিক পাশের আগেই তার প্রথম কবিতা ‘নতুন কাণ্ডারী’ নেত্রকোনার `উত্তর আকাশ' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
কবিদের কবি নির্মলেন্দু গুণকে কবিদের কবি নামে ডাকা হয়। নির্মলেন্দু গুণ গত শতাব্দীর ষাটের দশকে কবিতা রচনা শুরু করেন। পরের দশকেই তাঁর কবিতা এতটাই প্রভাববিস্তারী হয়ে ওঠে যে, তরুণরা তাঁর কবিতা পড়েই কবি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা বোধ করেন। বাংলাদেশে আর কোনো কবি অনুজ কবিদের ওপর এতোটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। সত্তর দশকের অনেক প্রতিষ্ঠিত কবি নির্মলেন্দু গুণ এর প্রভাবেই কবি হয়েছেন। তাই তাঁকে কবিদের কবি বলা হয় ।
কাব্যগ্রন্থ তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ:

‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই' (১৯৭০): এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ।

‘ইসক্রা' (১৯৮৪): এ কাব্যে তাঁর রাজনৈতিক কবিতাগুলো স্থান পেয়েছে।

'না প্রেমিক না বিপ্লবী' (১৯৭২),
'কবিতা অমীমাংসিত রমণী’ (১৯৭৩),
‘দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী' (১৯৭৪),
‘চৈত্রের ভালবাসা' (১৯৭৫),
‘ও বন্ধু আমার' (১৯৭৫),
‘আনন্দ কুসুম' (১৯৭৬),
‘বাংলার মাটি বাংলার জল' (১৯৭৮),
‘তাঁর আগে চাই সমাজতন্ত্র' (১৯৭৯),
‘চাষাভূষার কাব্য’ (১৯৮১),
‘পৃথিবীজোড়া গান' (১৯৮২),
‘অচল পদাবলী' (১৯৮২),
'দূর হ দুঃশাসন' (১৯৮৩),
'মুজিব-লেনিন- ইন্দিরা’ (১৯৮৪),
‘শান্তির ডিক্রি' (১৯৮৪),
‘প্রথম দিনের সূর্য’ (১৯৮৪),
‘নেই কেন সেই পাখি' (১৯৮৫),
‘নিরঞ্জনের পৃথিবী' (১৯৮৬),
‘চিরকালের বাঁশী’ (১৯৮৬),
‘দুঃখ কোরো না, বাঁচো' (১৯৮৭),
‘ধাবমান হরিণের দ্যুতি' (১৯৯২),
‘অনন্ত বরফবীথি’ (১৯৯৩),
‘আনন্দ উদ্যান’ (১৯৯৫),
‘শিয়রে বাংলাদেশ' (১৯৯৮),
‘ইয়াহিয়াকাল’ (১৯৯৮),
‘মুঠোফোনের কাব্য' (২০০৩),
‘চির অনাবৃতা হে নগ্নতমা’ (২০০৫),
‘নিশিকাব্য' (২০০৬),
‘কামকানন' (২০০৭)
অন্যান্য রচনাবলি তাঁর অন্যান্য রচনাবলি:

ছোটগল্প :

‘আপনদলের মানুষ' (১৯৭৬),
‘অন্তর্জাল' (২০০৫)।

কিশোর উপন্যাস:

‘কালো মেঘ' (১৯৮২),
‘বাবা যখন ছোট্ট ছিলেন' (১৯৯৭)।

আত্মজীবনী :

‘আমার ছেলেবেলা' (১৯৮৮),
‘আত্মকথা ১৯৭১ (২০০৮),
‘রক্তঝরা নভেম্বর' (১৯৭৫),
‘আমার কণ্ঠস্বর’।

ভ্রমণকাহিনি:

‘ভলগার তীরে' (১৯৮৫),
‘গীনসবার্গের সঙ্গে' (১৯৯৪),
‘আমেরিকায় জুয়াখেলার স্মৃতি' (১৯৯৬),
‘ভ্ৰমি দেশে দেশে' (২০০৪) ।

কবিতা :

‘হুলিয়া’,
‘স্বাধীনতা-এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো'।

অনুবাদ কবিতা:

‘রক্ত আর ফুলগুলি' (১৯৮৩),
'রাজনৈতিক কবিতা' (১৯৮৬)।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার mcq প্রশ্নোত্তর

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিষয়: বাংলা সাহিত্য
অধ্যায়: নির্মলেন্দু গুণ mcq প্রশ্ন উত্তর অনুশীলন ।
মোট প্রশ্ন: (০৬)

১. কোনটি নির্মলেন্দু গুণের কাব্যগ্রন্থ? [ সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার: ১০ ]

উত্তর: (ক) বাংলার মাটি বাংলার জল

২. 'চাষাভূষার কাব্য' কার রচনা ? [ বাংলাদেশ ব্যাংক সহকারী পরিচালক : ১৬ ]

উত্তর: (ক) নির্মলেন্দু গুণ

৩. 'হুলিয়া' কবিতা কার রচনা? [ ৩৫তম বিসিএস ]

উত্তর: (ঘ) নির্মলেন্দু গুণ

৪. “সমবেত সকলের মত আমি গোলাপ ফুল খুব ভালবাসি, রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেই সব গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি । “ উদ্ধৃতটি কোন কবির কবিতাংশ? [ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক : ৯৯ ]

উত্তর: (খ) নির্মলেন্দু গুণ

৫. ’মুজিব- লেনিন -ইন্দিরা’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে? [ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক : ১৮ ]

উত্তর: (গ) নির্মলেন্দু গুণ

৬. একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল প্রতীক্ষা মানুষের ‘কখন’ আসবে কবি’? পঙক্তিটির রচয়িতা কে ? [ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক: ২২ ]

উত্তর: (খ) নির্মলেন্দু গুণ

أحدث أقدم