মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৪)
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান দার্শনিক প্রবন্ধকার মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ। তিনি বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্র সংগীত বন্ধে পাকিস্তানের পক্ষে মত দেন ।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ ২ মার্চ, ১৮৯৮ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের ঘোড়শাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। |
বাংলা একাডেমিতে যোগদান | ১৯৫৫ সালে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি পরিচালক পদে যোগদান করেন । |
পুরস্কার ও সম্মাননা | তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬০), দাউদ পুরস্কার (১৯৬৩) পুরস্কার পান। পাকিস্তান সরকারের ‘সিতারা-ই- ইমতিয়াজ' (১৯৬২) উপাধিতে ভূষিত হন। |
গদ্যগ্রন্থ | তাঁর রচিত গদ্যগ্রন্থগুলো: ‘পারস্য প্রতিভা' (১ম খণ্ড- ১৯২৪, ২য় খণ্ড- ১৯৩২): এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধগ্রন্থ। এ গ্রন্থে পারস্যের খ্যাতনামা কবিদের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম, ফরাসি সাহিত্যের প্রেক্ষাপট, ইহলোক ও পরলোক ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপিত হয়েছে। ‘মানুষের ধর্ম' (১৯৩৪): এ গ্রন্থে জগৎ ও জীবন, ইহলোক ও পরলোক, জড়প্রকৃতি ও মনোজগৎ, জীবনপ্রবাহ ও আত্মা প্রভৃতি দুরূহ তত্ত্ব ক্লাসিক্যাল বাংলা গদ্যে উপস্থাপিত হয়েছে। ‘নবীগ্রহ সংবাদ' (১৯৬০): এটি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনীভিত্তিক গ্রন্থ । ‘নয়া জাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ’(১৯৬৩): এটি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর জীবনীভিত্তিক গ্রন্থ। এ গ্রন্থের জন্য তিনি ‘দাউদ পুরস্কার' (১৯৬৩) লাভ করেন । ‘কারবালা ও ইমাম বংশের ইতিবৃত্ত' (১৯৫৭), ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলিম ধারা' (১৯৬৯), ‘হযরত ওসমান' (১৯৬৯)। |
মৃত্যু | তিনি ২ নভেম্বর, ১৯৭৪ সালে ঢাকায় মারা যান । |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন