প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮)
তিরিশোত্তর আধুনিক সাহিত্য আন্দোলনের স্থপতিদের অন্যতম প্রখ্যাত কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক প্রেমেন্দ্র মিত্র ছিলেন ‘ কল্লোল' গোষ্ঠীর লেখক। পরা-বাস্তবভিত্তিক গণমানুষের প্রতি সংবেদনশীল যে সাহিত্যধারা কল্লোলগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন তার প্রতিফলন ঘটেছে প্রেমেন্দ্র মিত্রের কাব্যে ও গল্প-উপন্যাসে। তিনি জীবনের দুঃখ ও হতাশাকে রূপায়ণে কুশলতার পরিচয় প্রদান করেছেন। তাঁর রচিত সাহিত্যকর্মের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরাগ।
প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | প্রেমেন্দ্র মিত্র সেপ্টেম্বর, ১৯০৪ সালে কাশীতে জন্মগ্রহণ করেন। |
ছদ্মনাম | সাহিত্য সাধনার প্রথম পর্বে ‘কৃত্তিবাস ভদ্র’ ছদ্মনামে লিখতেন। তার সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র ‘ঘনাদা' । |
সম্পাদকীয় | তিনি ‘কল্লোল’ (১৯২৩) পত্রিকায় লেখালেখি করতেন এবং ‘বাংলার কথা’, ‘ বঙ্গবাণী’, ‘ সংবাদ' পত্রিকায় সম্পাদকীয় , বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন । শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ও মুরলীধর বসু সহযোগে তিনি ‘কালি কলম' (১৯২৬) পত্রিকা প্রকাশ করেন । |
সাহিত্যকর্ম | প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাহিত্যকর্মসমূহ: কাব্যগ্রন্থঃ প্রথমা (১৯৩২): এটি তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতার বই । ‘সম্রাট’ (১৯৪০), ‘ফেরারী ফৌজ' (১৯৪৮), ‘সাগর থেকে ফেরা’ (১৯৫৬), ‘হরিণ চিতা চিল' (১৯৫৯), ‘কখনো মেঘ' । উপন্যাস: পাক' (১৯২৬), ‘কুয়াশা' (১৯৩০), ‘মিছিল’ (১৯৩৩), ‘উপনয়ন' (১৯৩৪), ‘আগামীকাল’ (১৯৩৪), ‘প্রতিশোধ' (১৯৪১), ‘প্রতিধ্বনি ফেরে’, ‘মনুদ্বাদশ’। গল্পগ্রন্থ: ‘পঞ্চশর’ (১৯২৯), ‘বেনামী বন্দর' (১৯৩০), ‘পুতুল ও প্রতিমা’ (১৯৩২), ‘মৃত্তিকা' (১৯৩২), ‘অফুরন্ত’ (১৯৩৫), ‘ধূলিধূসর’ (১৯৪৩), ‘মহানগর' (১৯৪৩), ‘জলপায়রা’ (১৯৫৭), ‘নানা রঙে বোনা’ (১৯৬০)। |
মৃত্যু | ৩ মে, ১৯৮৮ সালে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা যান । |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন