কাজী মোতাহার হোসেন (১৮৯৭-১৯৮১)
কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও পদার্থবিদ। শক্তিশালী লেখনীর মাধ্যমে তিনি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৭ সালে মওলানা ভাসানীর আয়োজিত ‘কাগমারী সম্মেলন’ এ সভাপতিত্ব করেন ।
কাজী মোতাহার হোসেনের সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | কাজী মোতাহার হোসেন ৩০ জুলাই, ১৮৯৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে (মাতুলালয়) জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস: বর্তমান রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বাগমারা গ্রাম। |
বিশেষত্ব ও সম্পাদনা | তিনি ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং এ সংগঠনের মুখপত্র 'শিখা' পত্রিকার ২য় ও ৩য় সংখ্যার সম্পাদক। সাহিত্য সমাজের নেতৃত্বে পরিচালিত বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। |
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য | তিনি ‘বাংলা একাডেমি'র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। |
দাবাড়ু | তিনি ছিলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু । |
কাজী নজরুল ইসলাম তাকে যে নামে ডাকতেন | কাজী নজরুল ইসলাম তাকে আদর করে ‘মোতিহার' নামে ডাকতেন । |
স্রষ্টা | তিনি জনপ্রিয় ‘মাসুদ রানা' সিরিজের স্রষ্টা । |
তাঁর মেয়ে | বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সনজীদা খাতুন তাঁর মেয়ে। |
পুরস্কার | ১৯৬০ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক 'সিতারা-ই- ইমতিয়াজ' , ১৯৬৬ সালে 'বাংলা একাডেমি পুরস্কার", ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি, ১৯৭৯ সালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার' লাভ করেন। |
অধ্যাপক | ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে 'জাতীয় অধ্যাপক' হিসেবে সম্মানিত করে । |
সাহিত্যকর্ম |
কাজী মোতাহার হোসেন এর সাহিত্যকর্মসমূহ: প্রবন্ধ: ‘সঞ্চয়ন’ (১৯৩৭): এটি তাঁর প্রথম বিখ্যাত প্রবন্ধ সংকলন। ‘নজরুল কাব্য পরিচিতি' (১৯৫৫), ‘সেই পথ লক্ষ্য করে’ (১৯৫৮), ‘সিম্পোজিয়াম' (১৯৬৫), “গণিত শাস্ত্রের ইতিহাস” (১৯৭০), ‘আলোকবিজ্ঞান' (১৯৭৪)। |
মৃত্যু | তিনি ৯ অক্টোবর, ১৯৮১ সালে মারা যান। |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন