সৈয়দ আলী আহসান

সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-২০০২)

সৈয়দ আলী আহসান ছিলেন কবি, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী। তিনি ইকবাল ও ইলিয়ট এর নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ করেন; একদিকে ইসলামি ভাব ও বিষয় নিয়ে, অন্যদিকে লেনিন ও সামাজিক প্রসঙ্গ নিয়ে কবিতা রচনা করেন। ভাববস্তুতে ঐতিহ্য সচেতনতা, সৌন্দর্যবোধ ও দেশপ্রীতি ছিল তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্য। তিনি জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন।

সৈয়দ আলী আহসানের সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম সৈয়দ আলী আহসান ২৬ মার্চ, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে যশোরের (বর্তমান মাগুরা) আলোকদিয়া নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
অনুবাদ তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদক।
বিশেষ পরিচিতি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক হিসেবে ‘ চেনাকণ্ঠ' ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন।
পরিচালক তিনি বাংলা একাডেমির পরিচালক (১৯৬০-৬৬) ছিলেন।
ইংরেজি কবিতা ১৯৩৭ সালে আরমানিটোলা বিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্কুল ম্যাগাজিনে 'The Rose' নামে একটি ইংরেজি কবিতা ছাপা হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার' (১৯৬৭), ‘একুশে পদক' (১৯৮৩), ‘স্বাধীনতা পুরস্কার' (১৯৮৮) পান।
জাতীয় অধ্যাপক ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় অধ্যাপক' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে ।
গ্রন্থসমূহ তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:

কাব্যগ্রন্থ:

‘অনেক আকাশ' (১৯৫৯),
‘একক সন্ধ্যায় বসন্ত’ (১৯৬৪),
‘সহসা সচকিত' (১৯৬৫),
‘আমার প্রতিদিনের শব্দ' (১৯৭৪),
‘উচ্চারণ' (১৯৬৮),
‘সমুদ্রেই যাব’ (১৯৮৭),
‘রজনীগন্ধা’ (১৯৮৮),
‘প্রেম যেখানে সর্বস্ব' ।

অনুবাদগ্রন্থ :

‘ইডিপাস' (১৯৬৩),
‘হুইটম্যানের কবিতা' (১৯৬৫)।
শিশুতোষ : ‘কখনো আকাশ' (১৯৮৪)।

আত্মজীবনী :

‘আমার সাক্ষ্য' (১৯৯৪)।

প্রবন্ধ:

‘গল্পসঞ্চয়ন’ (১৯৫৩) - ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সহযোগে সংকলন সম্পাদনা,
‘নজরুল ইসলাম' (১৯৫৪)- সমালোচনা গ্রন্থ
‘কবিতার কথা' (১৯৫৭)
‘কবি মধুসূদন’ (১৯৫৭)
‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত' (১৯৫৬)- মুহম্মদ আবদুল হাই সহযোগে
‘সাহিত্যের কথা' (১৯৬৪)
‘পদ্মাবতী' (১৯৬৮)
‘মধুমালতি' (১৯৭২)
মৃত্যু তিনি ২৫ জুলাই, ২০০২ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় মারা যান ।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন

নবীনতর পূর্বতন