মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী (১৮৮৮-১৯৪০)
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরীর রচনার মূল উপজীব্য ছিল ইসলামি দর্শন ও সংস্কৃতি। তিনি হিন্দু- মুসলিম সম্প্রীতির জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য কারাভোগ করেন। বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলা না উর্দু এ বিতর্কে তিনি বাংলা ভাষার পক্ষে মত দেন। তিনি আজীবন চিরকুমার ছিলেন।
মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরীর সাহিত্যকর্ম
সাহিত্যিক উপাদান | সাহিত্যিক তথ্য |
---|---|
জন্ম | মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী ১৮ কার্তিক, ১২৯৫ বঙ্গাব্দ (১৮৮৮) রাজবাড়ী জেলার (তৎকালীন ফরিদপুর) পাংশার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। |
সম্পাদনা |
তিনি ‘কোহিনুর' (১৮৯৮) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বড় ভাই রওশন আলী (কোহিনুর পত্রিকার সম্পাদক) অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি এটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা যা কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত হয় ৷ তিনি ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি' (৪ সেপ্টেম্বর, ১৯১১) প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি। কবি গোলাম মোস্তফা সহযোগে এ সমিতির মাসিকপত্র ‘সাহিত্যিক’ (১৯২৬) এর যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । |
গ্রন্থ | তাঁর রচিত গ্রন্থগুলো: ‘মানব মুকুট' (১৯২২): এটি হজরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে রচিত জীবনচরিত। ‘নূরনবী' (১৯১৮): এ গ্রন্থটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রশংসাবাণী সংযোজিত হয়েছে। ‘ধর্মের কাহিনী’ (১৯১৪), ‘শান্তিধারা’ (১৯১৯)। |
মৃত্যু | তিনি ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৪০ সালে দীর্ঘদিন ক্ষয়রোগে ভুগে মারা যান । |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন