অমিয় চক্রবর্তী

অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৭)

ত্রিশের দশকের শীর্ষস্থানীয় আধুনিক কবি অমিয় চক্রবর্তী। বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান ছিল রবীন্দ্র প্রভাব বলয়ের বাইরে এবং কবিতা ছাড়াও তিনি পরিচিত ছিলেন গদ্যশিল্পী হিসেবে। আধুনিক ভাব, দর্শন ও রসের ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ সংযোজন ঘটিয়েছেন। মরমী সুর ও আধ্যাত্মিকতাও তাঁর কবিতার অন্যতম বিষয়।

অমিয় চক্রবর্তীর সাহিত্যকর্ম

সাহিত্যিক উপাদান সাহিত্যিক তথ্য
জন্ম অমিয় চক্রবর্তী ১০ এপ্রিল, ১৯০১ সালে হুগলীর শ্রীরামপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
বিশেষ পরিচিতি তিনি পঞ্চপাণ্ডবদের একজন এবং রবীন্দ্রোত্তর যুগের অন্যতম আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব (১৯২৬-৩৩) ছিলেন।
বিবাহ তিনি ড্যানিশ কন্যা হিয়োর্ডিস সিগার্ড কে বিয়ে করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ বিদেশিনী নববধুর নাম দিয়েছেন “হৈমন্তী'' ।
পুরস্কার ও সম্মাননা তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬০), পদ্মভূষণ উপাধি (১৯৭০) পান ।
কাব্যগ্রন্থ তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থ:

একমুঠো ” (১৯৩৯): বিশ শতকের বিজ্ঞানের যুগে মানুষের ব্যবহারিক জীবনে যেমন জটিলতা বাড়ছে, তেমনি মানুষের মনোজাগতিক চিন্তাতেও বাড়ছে জটিলতা। কবি এ কাব্যে সময়কে বিবেচনায় এনে মানব-মানবীর অন্তর্গত সুখ ও সমস্যা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ।

' কবিতাবলী ' (১৯২৫),
' উপহার ' (১৯২৭),
খসড়া ’ (১৯৩৮),
‘মাটির দেয়াল' (১৯৪২),
‘অভিজ্ঞান বসন্ত’ (১৯৪৩),
দূরবাণী ’ (১৯৪৩),
পারাপার' (১৯৫৩),
পালাবদল' (১৯৫৫),
‘ঘরে ফেরার দিন' (১৯৬১),
‘হারানো অর্কিড’ (১৯৬৬),
‘পুষ্পিত ইমেজ' (১৯৬৭),
‘অনিঃশেষ’ (১৯৭৬)।
গদ্যগ্রন্থ গদ্য রচনা: ‘চলো যাই' (১৯৬২), ‘সাম্প্রতিক' (১৯৬৩), ‘পুরবাসী’, ‘পথ অন্তহীন' ।
বিখ্যাত কবিতা তাঁর বিখ্যাত কবিতা:

বাংলাদেশ’: এটি ‘অনিঃশেষ’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত। এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। এতে উল্লেখ আছে পদ্মা, যমুনা নদী ও প্রকৃতির কথা ।
মৃত্যু তিনি ১২ জুন, ১৯৮৬ সালে শান্তিনিকেতনে মারা যান।

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন

নবীনতর পূর্বতন