রম্য রচনা কী?
‘রম্য রচনা' কথাটির অভিধানিক অর্থ, যে রচনা রমণীয় বা সুন্দর। এই অর্থে কবিতা,গল্প,উপন্যাস,প্রবন্ধ,নাটক,কেীতুক—সকল শ্রেষ্ঠ রচনাসমূহকেই রম্য রচনা অভিধায় ভূষিত করা যেতে পারে। কিন্তু রম্য রচনা বলতে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ এক শ্রেণির রচনাকে বোঝায়। বলা যেতে পারে, যে রচনায় জীবনের লঘু-চপল বিকাশগুলিকে নিয়ে কেীতুক ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয় সেই রচনাই রম্য রচনা। রম্য রচনা হবে সুন্দর এবং রসোত্তীর্ণ। আরো সহজ ভাষায় বললে, কোন একটি প্রবন্ধকে যখন লেখক নিজের ইচ্ছামত রসকষ দিয়ে হাসি কৌতুকের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন, তাকেই রম্য রচনা বলে। যেমনঃ সৈয়দ মুজতবা আলির 'রসগোল্লা'।
বিখ্যাত রম্য রচনা
রচয়িতা | রম্যরচনা |
---|---|
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
সৈয়দ মুজতবা আলী |
|
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় |
|
আবুল মনসুর আহমেদ |
|
তাজাকলম | চেনা মানুষের ইতিকথা |
নূরুল মোমেন |
|
কাজী দীন মোহাম্মদ | গোলকচন্দ্রের আত্মকথা |
মুহাম্মদ আব্দুল হাই | তোষামদ ও রাজনীতির ভাষা |
কালীপ্রসন্ন সিংহ | হুতোম পাচার নক্সা (১৮৬২): তৎকালীন সমাজজীবনের ক্ষত বিক্ষত চিহ্নের যথার্থ ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন এ গন্থে। তার বড় অবদান সংস্কৃতবহুল পন্ডিতী ভাষার বিরুদ্ধে কথ্যভাষাকে সাহিত্যে স্থাপন । বাংলা সাহিত্যে তার ব্যবহৃত ভাষা 'হুতোমী বাংলা' নামে পরিচিত। |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নসমূহ পড়তে ও পরীক্ষা দিতে এখানে ক্লিক করুন